এয়ারটেল (বাংলাদেশ)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
এয়ারটেল
ধরনরবি আজিয়াটা লিমিটেডের একটি পণ্য
শিল্পটেলিযোগাযোগ
পূর্বসূরীওয়ারিদ টেলিকম বাংলাদেশ
প্রতিষ্ঠাকাল১০ মে ২০০৭
অবস্থারবি আজিয়াটা লিমিটেডের সঙ্গে একত্রিত
সদরদপ্তররবি আজিয়াটা লিমিটেড কর্পোরেট অফিস দ্য ফোরাম, ১৮৭, ১৮৮/বি বীর উত্তম মীর শওকত সড়ক, তেজগাঁও, ঢাকা, বাংলাদেশ
পরিষেবাসমূহমোবাইল টেলিফোনি, জিপিআরএস, এজ, ৪ জি +, আন্তর্জাতিক রোমিং
ওয়েবসাইটএয়ারটেল

এয়ারটেল বাংলাদেশে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের লাইসেন্সের অধীনে পরিচালিত একটি মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিসেবা প্রদানকারী ব্র্যান্ড । [১] ১৬ নভেম্বর ২০১৬ সালের আগে এয়ারটেল ব্র্যান্ড টি এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেড নামে স্বতন্ত্র একটি কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত হতো। মালয়েশিয়ার আজিয়াটা গ্রুপ ও ভারতি এন্টারপ্রাইজ অফ ইন্ডিয়া বাংলাদেশে এয়ারটেলের ব্যবসায়িক কার্যক্রম একীভূত করার সম্ভাবনার বিষয়ে আলোচনা শুরু করে ২০১৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর; পরবর্তীতে ১৬ নভেম্বর ২০১৬ সালে এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেড ও রবি আজিয়াটা লিমিটেড [২][৩][৪][৫] এই দুটি কোম্পানির একীভূতকরণের ফলে এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেড আইনগত বিলুপ্ত হয় এবং এয়ারটেল ব্র্যান্ড টি বাংলাদেশে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের লাইসেন্সের আওতায় পরিচালিত হতে শুরু করে।

রবি ও এয়ারটেল একীভূতকরণের শর্ত ছিলো রবি এয়ারটেল মিলিতভাবে রবি নামে চলবে এবং একীভূত হবার ২ বছরের মধ্যে এয়ারটেল নামটি বিলুপ্ত হবে, রবি ও এয়ারটেল উভয় গ্রাহক রবি নামে পরিচিত হবে। কিন্তু বর্তমানে এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। রবি ও এয়ারটেল উভয়ের বিজ্ঞাপন টিভিতে দেখানো হয়।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

২০০৫ সালের ডিসেম্বরে ওয়ারিদ টেলিকম ইন্টারন্যাশনাল এলএলসি ৫ কোটি ডলার এর বিনিময়ে বিটিআরসি থেকে বাংলাদেশের ৬ষ্ঠ জিএসএম মুঠোফোন নেটওয়ার্ক সেবাদাতা হিসাবে অনুমতিপত্র পায়। ১০ মে, ২০০৭ সালে ৬১টি জেলায় মুঠোফোন নেটওয়ার্ক সেবা প্রদানের মাধ্যমে এবং ৭০% জনসমষ্টিকে ঘিরে এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে ২০১০ সালের জানুয়ারিতে ওয়ারিদ ১ লক্ষ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ভারতের ভারতী এয়ারটেল নিকট কোম্পানির ৭০% অংশীদারিত্ব বিক্রি করে। পরবর্তীতে যা এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেড নাম ধারণ করে। ভারতী প্রস্তাবের মধ্যে ছিল কোম্পানির নতুন শেয়ার তৈরির জন্য ৩০ কোটি মার্কিন ডলারের প্রাথমিক বিনিয়োগ করার। বিটিআরসি ৪ জানুয়ারি ২০১০ তারিখে এই চুক্তিকে অনুমোদন করে। একই বছরের ২০ ডিসেম্বর তা এয়ারটেল নামে সেবা প্রদান শুরু করে।

মার্চ ২০১৩ সালে, ওয়ারিদ তার বাকী ৩০% শেয়ার ভারতী এয়ারটেলের মালিকানাধীন সিঙ্গাপুর ভিত্তিক ভারতি এয়ারটেল হোল্ডিংস পিটি লিমিটেডের কাছে ৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে বিক্রি করে। ২০১৬-এর জানুয়ারিতে রবি এবং এয়ারটেল বাংলাদেশ ঘোষণা করে যে তারা তাদের অপারেটরকে এওত্রিত করতে চায়, এবং যৌথ সত্তাটি রবি নামে পরিচিত হবে। ১৬ নভেম্বর ২০১৬ সালে একীভূত কোম্পানি হিসেবে যাত্রা রবি যাত্রা শুরু করে।[৬]

এয়ারটেল গ্রাহকেরা রবি নেটওয়ার্কে[সম্পাদনা]

রবি এয়ারটেল একীভূতকরণের ফলে এয়ারটেল এর গ্রাহকেরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে রবি নেটওয়ার্কে যুক্ত হন।[৭]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "এয়ারটেল সম্পর্কে"। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৬ 
  2. "রবি-এয়ারটেল এখন শুধুই 'রবি'"। ৫ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০২১ 
  3. "রবি-এয়ারটেল হচ্ছে 'রবি'"। প্রথম আলো'। 
  4. "রবি আর এয়ারটেল মিলে রবি'" 
  5. "রবিতে হারাচ্ছে এয়ারটেলের নাম, আনুষ্ঠানিক চুক্তি'"। ৫ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০২১ 
  6. "এক হল রবি-এয়ারটেল"bangla.bdnews24.com। ১৬ নভেম্বর ২০১৬। ২৫ জুন ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০১৮ 
  7. "ঢাকায় শুরু হচ্ছে রবি-এয়ারটেলের নেটওয়ার্ক সমন্বয়"। ২৬ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ এপ্রিল ২০২১ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]