যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(একলা চলো রে থেকে পুনর্নির্দেশিত)
"একলা চলো রে"
১৯০৫ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর[১] এর একক
রেকর্ড সংখ্যা ৩৫৭[১] অ্যালবাম থেকে
মুক্তি১৯০৫ এবং ১৯০৮ সালের মধ্যে[১]
ফরম্যাটসিলিন্ডার রেকর্ড[১]
লেবেলএইচ. বসু স্বদেশী রেকর্ড[১]
অ্যালবামটি বর্তমানে হারিয়ে গেছে.

"যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে", সাধারণভাবে একলা চলো রে হিসেবে পরিচিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দ্বারা রচিত একটি বাংলা দেশাত্মবোধক গান।[২]

১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে ভাণ্ডার পত্রিকায় একা শিরোনামে গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়। [১] এই গানটি হরি নাম দিয়ে জগত মাতালে আমার একলা নিতাই রে, নামক একটি জনপ্রিয় মনোহরশাহী ঘরানার[৩] বাংলা ঢপকীর্তন দ্বারা প্রভাবিত ।[১]

ডাক দেওয়া সত্ত্বেও যদি কেউ এগিয়ে না আসে কিংবা সহায়তা না করে তাহলেও শ্রোতা যেন তার যাত্রা বন্ধ না করে, সেই অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য এই গানটি রচিত হয়। মহাত্মা গান্ধী এই গানের দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত ছিলেন[৪] এবং এটিকে তিনি তার অন্যতম প্রিয় গান হিসেবে উল্লেখ করতেন।[৫]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একলা চলো রে গানটি গিরিডি শহরে লিখেছিলেন।[৬] ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের স্বদেশী যুগে রবীন্দ্রনাথ রচিত ২২টি প্রতিবাদ মূলক গানের মধ্যে এটি একটি অন্যতম গান ছিল।[৭] ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে আমার সোনার বাংলা গানটির মতোই এই গানটিও বঙ্গভঙ্গের সময়কালে একটি বিখ্যাত প্রতিবাদ মূলক গান হিসেবে জনমানসে বিখ্যাত হয়।[৭]

১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে ভাণ্ডার পত্রিকায় একা শিরোনাম দিয়ে গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়। [১] ১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দে এই গানটি তার বাউল নামক গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।[৬] ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দে গানটিকে গীতবিতানের স্বদেশ পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[৬]

রবীন্দ্রনাথের ভ্রাতুষ্পুত্রী ইন্দিরা দেবী এই গানের সুর দেন, যা ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল-মে মাসে প্রকাশিত সঙ্গীত-বিজ্ঞান প্রকাশিকা নামক পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ও পরে স্বরবিতানের ৪৬তম খণ্ডে স্থান পায়।[১]

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯০৫ এবং ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে এইচ. বসু স্বদেশী রেকর্ড থেকে স্বয়ং এই গান রেকর্ড করেন, যা বর্তমানে খুঁজে পাওয়া যায় না।[১] গ্রামোফোন কোম্পানী অব ইন্ডিয়া থেকে হরেন্দ্রনাথ দত্ত (রেকর্ডে সংখ্যা পি৫২৭০) এবং হিন্দুস্থান রেকর্ডস থেকে অমলা দত্ত, নন্দিতা দেবী, সুধীন দত্ত এবং শান্তিদেব ঘোষ (রেকর্ডে সংখ্যা এইচ ১৯১) এই গানের রেকর্ড করেন।[১] ১৯৪৮ (রেকর্ড সংখ্যা এন২৭৮২৩) ও ১৯৮৪ (রেকর্ড সংখ্যা পিএসপিএল ১৫০১) খ্রিষ্টাব্দে বিশিষ্ট রবীন্দ্র সঙ্গীত গায়ক সুচিত্রা মিত্র এই গান দুইবার রেকর্ড করেন।[৮]

জনপ্রিয় মাধ্যমে[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. মুখোপাধ্যায়, সুরেন (২০০৯) [২০০১]। রবীন্দ্র সঙ্গীত কোষ (২য় সংস্করণ)। কলকাতা: সাহিত্য প্রকাশ। পৃষ্ঠা ২৯০। 
  2. Som, Reba (২০০৯)। Rabindranath Tagore: The Singer and His Song (১ম সংস্করণ)। নতুন দিল্লি: পেঙ্গুইন বুকস ইন্ডিয়া। পৃষ্ঠা ২৫৪। আইএসবিএন 978-0-670-08248-3 
  3. বসু মল্লিক, ডাঃ আশিস (২০০৪)। রবীন্দ্রনাথের ভাঙ্গা গান (1st সংস্করণ)। Kolkata: Pratibhas। পৃষ্ঠা 166। 
  4. "Rabindranath Tagore"। জার্মানি: ভারত দূতাবাস বার্লিন। ২০ এপ্রিল ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১২ 
  5. Monish R. Chatterjee: Sadhaka of Universal Man, Baul of Infinite Songs। "Rabindranath Tagore"। Rochester, NY, USA: Bengali Association of Greater Rochester। ২০ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১২ 
  6. চৌধুরী, সুভাষ (২০০৬). গীতবিতানের জগৎ পৃ. ৩৩.
  7. Ghosh, Santidev (১৯৮৭) [1942]। রবীন্দ্র সঙ্গীত (6th সংস্করণ)। কলকাতা: বিশ্ব-ভারতী। পৃষ্ঠা 108। আইএসবিএন 978-81-7522-302-8 
  8. Mitra, সুচিত্রা (২০০৮) [1995]। "সুচিত্রা মিত্রের রেকর্ড"। মনে রেখো (২য় সংস্করণ)। কলকাতা: আজকাল পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড। পৃষ্ঠা 65 & 72। আইএসবিএন 81-7990-084-3 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]