ইসাবেল এর্বার্হাডথ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইসাবেল এর্বার্হাডথ
জন্ম১৭ ফেব্রুয়ারি ১৮৭৭
মৃত্যু২১ অক্টোবর ১৯০৪(1904-10-21) (বয়স ২৭)
এ্যাইন সিফ্রা, আলজেরিয়া
জাতীয়তাস্যুইস
পেশাজ্ঞানান্বেষক, লেখক

ইসাবেল এর্বার্হাডথ (ইংরেজি: Isabelle Eberhardt) (১৭ ফেব্রুয়রী ১৮৭৭- ২১ অক্টোবর ১৯০৪) ছিলেন অনুসন্ধানী নারী এবং লেখক। তিনি আফ্রিকার উত্তরাঞ্চলে বসবাস ও ব্যাপক ভ্রমণ করেছেন। তার সমসাময়িক কালে তিনি ছিলেন একজন স্বাধীনচেতা ব্যক্তিত্ব যিনি তার নিজ মতাদর্শের জন্য ইউরোপের প্রচলিত আচারধর্মকে ত্যাগ করেছিলেন। আর তার আদর্শটি ছিল ইসলাম[১] তিনি মাত্র ২৭ বছর বয়সে মরুভূমিতে একটি জ্বলোচ্ছাসে মারা যান।[২] যেটুকু তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায় তাতে বলা হয় তিনিই ছিলেন পশ্চিমা বংশদ্ভূত প্রথম সুফি অনুসারী। [৩]

বাল্যকাল ও পারিবারিক পটভূমি[সম্পাদনা]

ইসাবেল এর্বার্হাডথ জন্ম গ্রহণ করেন সুইজারল্যান্ডের জেনেভায়। তার মা ছিলেন রুশ বংশদ্ভূত জার্মান ন্যাথাইলি ময়েডার (ইংরেজি: Nathalie Moerder) (née Eberhardt) এবং বাবা আলেকজান্ডার ট্রপমস্কি (ইংরেজি: Alexandre Trophimowsky) ছিলেন একজন আমেরিকান। [৪] তার জার্মান মায়ের বিয়ে হয়েছিল বিপত্নিক জেনারেল পাভেল ডি মোয়ের্ডের সাথে যিনি হার্ট হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। স্বামীর যাওয়ার খবর তিনি সুইজারল্যান্ডেই থেকে যাবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সেখানেই চার বছর পর ইসাবেল এর্বার্হাডথ জন্ম নেন। অসচেতন জীবনযাপনের কারণে সৃষ্ট পারিবারিক জটিলতার জন্য দায়ী বাবাকে তিনি অপছন্দ করতেন।

এসকল বৈরীতায় চাপা জেদে তিনি হয়ে উঠেছিলেন উচ্চশিক্ষিত। তিনি ফরাসি ভাষায় ছিলেন দক্ষ তাছাড়াও রুশ, জার্মান এবং ইতালীয় ভাষায় কথা বলতে পারতেন।[৩] তিনি ল্যাতিন ও গ্রিক ভাষায় বিদ্যার্জন করেন। তার বাবার সহযোগিতায় তিনি শাস্ত্রীয় আরবি ভাষা এবং কোরআন পড়তে শিখেন। পরবর্তীতে তিনি আরবী ভাষাও পারদর্শী হয়ে উঠেন।[১][৫] ছোটবেলা হতেই তিনি ছেলেদের পোশাক পরতে অভ্যস্ত ছিলেন যা তাকে যখন তখন যত্রতত্র ঘুরে বেড়ানোয় বাড়তি স্বাধীনতা যোগাতো। [৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Eberhardt, Isabelle (1877–1904)"। ওমেন ইনদি ওয়ার্ল্ড হিষ্টেরি: এ্যা বায়োগ্রাফিক্যাল এ্যানসাইক্লোপিডিয়া ভায়া হাইবীম রিসার্চ (Women in World History: A Biographical Encyclopedia via HighBeam Research)। জানুয়ারী ২০০২। ১০ জুন ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০১২ 
  2. Abdel-Jaouad, Hedi (১৯৯৩)। "Isabelle Eberhardt: Portrait of the Artist as a Young Nomad"Yale French Studies (83): 93–117। আইএসএসএন 0044-0078ডিওআই:10.2307/2930089 
  3. Rentsch, Steffi (ফেব্রুয়ারি ২০০৪)। "ওয়েষ্টার্ন ছুফিজম এন্ড ট্রেডিশনালিজম, সম্পাদনায়: ম্যাথ বাকার্ড এবং পিয়ে বোডেথ, প্রকাশ: কোপেনহ্যাগেন- এ্যনিস্ 2003, আলোচনা: পৃষ্ঠা নং 139-51 / Stillgestellter Orient - 100th anniversary of death of Isabelle Eberhardt" (পিডিএফ)Essays (German ভাষায়)। http://www.kritische-ausgabe.de। ডিসেম্বর ১০, ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ২০, ২০১২  |প্রকাশক= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
  4. Rentsch, Steffi (ফেব্রুয়ারি ২০০৪)। "জার্মান ভাষায় প্রকাশি প্রবন্ধ, শিরোনাম: স্টিলগ্যাষ্টলথার ওরিয়েন্ট- 100তম এ্যানির্ভাসারী অফ ডেথ অব ইসাবেল এর্বার্হাডথ/Stillgestellter Orient - 100th anniversary of death of Isabelle Eberhardt" (পিডিএফ)Essays (German ভাষায়)। http://www.kritische-ausgabe.de। ডিসেম্বর ১০, ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ২০, ২০১২  |প্রকাশক= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
  5. শিরোনাম: রিভিউ বাই ইভ অচ্যানক্লেজ অব দ্যা লাইফ অব ইসাবেল এর্বার্হাডথ, লেখক: এ্যান্নেথ কোবাক নফ, ওয়াশিংটন পোষ্ট, মে 21 1989 (Review by Eve Auchincloss of The Life of Isabelle Eberhardt By Annette Kobak Knopf. Washington Post, 21 May 1989)
  6. কোডাক, এ্যান্নেথ, “ইসাবেল: দ্যা লাইফ অব ইসাবেল এ্র্যার্বার্হাডথ”, লন্ডন: চ্যাট্টো এন্ড উইন্ডাস, নিউইয়র্ক, লেখক: আলফ্রেড এ্যা নোফ, প্রকাশ: 1988, লন্ডন / Kobak, Annette, Isabelle: The Life of Isabelle Eberhardt. London: Chatto & Windus; New York: Alfred A. Knopf, 1988; London: Virago Classic, 1998.