আসিফ আলী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আসিফ আলী
জন্ম
আসিফ আলী

(1986-02-04) ৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৬ (বয়স ৩৮)
কেরালা, ভারত
অন্যান্য নামঅপু
পেশাচিত্রাভিনেতা
কর্মজীবন২০০৯–বর্তমান
দাম্পত্য সঙ্গীজামা মাজরীন
পিতা-মাতাএম.পি. শওকত আলী
মলী

আসিফ আলী (মালয়ালম: ആസിഫ് അലി, ইংরেজি: Asif Ali; জন্মঃ ৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৬) হলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা যিনি মুলত মালায়ালাম সিনেমাতে কাজ করে থাকেন। তিনি ২০০৯ সালে রিতু চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন। চলচ্চিত্রটি অসাধারণ অভিনয়ের জন্য ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হন।

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

আসিফ আলী ভারতের কেরালায় ১৯৮৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম হল এম,পি, শওকত আলী এবং মাতার নাম মলী। তার প্রাথমিক স্কুলে জীবন শুরু করেন দে পাল পাবলিক স্কুল এবং রাজশ্রী মেমোরিয়াল স্কুল থেকে। তিনি মারিয়ান কলেজ থেকে ব্যবসা প্রশাসন থেকে তার ডিগ্রী লাভ করেন। চলচ্চিত্র শিল্পে প্রবেশ করার আগে তিনি একজন মডেল হিসেবেএ একটি প্রোগ্রামের প্রযোজক হিসেবে কাজ করেছিলেন।

বিদেশে একটি ডিগ্রী অণুসরনে তিনি মডেল বিজ্ঞাপনের একটি ভিডিও জকি হিসাবে কাজ করেন এবং পরিচালক শ্যামাপ্রসাদ এর সাহায্য রিতু চলচ্চিত্রের জন্য প্রধাণ চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পান।[১] আসিফের চলচ্চিত্রগুলো সমালোচনামূলকদের প্রশংসাসহ ব্যাবসায়িকভাবে সাফল্য লাভ করেছে। যেমন ট্রাফিক (২০১১), সল্ট এন' পেপ্পার (২০১১), অর্ডিনারী (২০১২) এবং হানী বি (২০১৩).

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

আসিফ আলী ২০১৩ সালের ২৬ মে জমা মাজরিনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

অভিনয় জীবন[সম্পাদনা]

আসিফ আলী শ্যামাপ্রসাদের মিউজিকাল ফিল্ম রিতু অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে শিল্পে প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান।[২] সহ-তারকা হিসেবে ছিলেন নিশান এবং রীমা কালিঙ্গাল। তারপর তিনি সত্যান আন্থিকাডুুর কান্দা থুডারুন্নু ছবিতে কাজ করেন। এছাড়া তার তৃতীয় চলচ্চিত্র অপুরবারাগাম পরিচালনা করেন বেতারান। তিনি পুনরায় আবার নিশানকে সহ-তারকা হিসেবে পান। তিনি সম্পত্রতি এম,এ, নিশাদের বেস্ট অব লাক চলচ্চিত্রটির কাজ শেষ করেছেন।[৩] এবং আত্মপ্রকাশকারী রাজেশ কান্নামকারার ইথু নামুদ্দে কথা[৪] রাজেম পিলিয়াস এর ট্র্যাফিক, লিখেছেন সঞ্জয় এবং ববী, অভিনয় করেছেন শ্রীনিবাসন, কুনচাক্কো বোবান, বিনীত শ্রীনিবাসনরমা আশরানী। চলচ্চিত্রটি ছিল ব্যাবসায়িক দিক থেকে ব্যাপক সফল। আসিফ এর পরের সিনেমা ছিল ভায়োলিন পরিচালনা করেন সিবি মালায়িলী সাথে রয়েছেন নিথায়া মেনন ছবিতে নায়িকা হিসাবে এবং তারপর সল্ট এন' পেপ্পার পরিচালনা করেন আশিক আবু অভিনয়ে লাল, মাইথিলী, শ্বেতা মেনন। অন্যান্য সাম্প্রতিক পারফরমেন্সগুলোর মধ্য সেভেন্স চরিত্রে, পরিচালনা করেন জোশী, অসুরাবিথু এবং উন্নাম ছিল তার পরবর্তী ছায়াছবি। এরপর তার চলচ্চিত্রে অভিষেক হওয়া পরিচালক সুগীথ এর অর্ডিনারী ছিল। তার পরবর্তী সিনেমাগুলো হল- "ওজহিমুরী", "হাসব্যান্ড ইন গোয়া", "কাউবয়", "কিলিপোয়ি" এবং "রেড ওয়াইন" সাথে রয়েছেন মোহনলাল এবং ফাহাদ ফজিল।[৫] তার পরের প্রকল্পগুলো ছিল জিন পাল লালের হানি বি ভাবনার বিপরীতে। এই ছবিটি একটি প্রাথমিক সাফল্য ছিল।

চলচ্চিত্রের তালিকা[সম্পাদনা]

চলচ্চিত্রের কর্মজীবন[সম্পাদনা]

নম্বর বছর চলচ্চিত্র ভূমিকা সহ-তারকা পরিচালক মন্তব্য
২০০৯ রিতু সানী ইমাত্তি নিশান, রীমা কালিঙ্গাল শ্যামাপ্রসাদ

ক্যামিও[সম্পাদনা]

নম্বার বছর চলচ্চিত্র ভূমিকা সহ-তারকা পরিচালক
২০১১ ডক্টর লাভ ন্যারেটর কুনচাকো বোবান, ভাবনা কে. বিজু
২০১১ ইন্ডিয়ান রুপি ল্যান্ড ব্রোকার প্রীথাবিরাজ সুকুমারান, রিমা কালিঙ্গাল রঞ্জিত
২০১২ মল্লু সিং হরেন্দ্র সিং কুনচাচ্চো বোনান, উন্নি মুকুন্দন বৈশাখ
২০১২ উস্তাদ হোটেল নিজে দালকার সালমান, নিথীয়া মেনন আনোয়ার রাশেদ
২০১২ স্কিন ওন্নু নামুদী বিদু আসিফ আলী লাল, নাভ্বা নায়ার শায়জু আন্থিকাডু

আসন্ন ছায়াছবি[সম্পাদনা]

বছর চলচ্চিত্র ভূমিকা সহ-তারকা পরিচালক
২০১৪ মশাইলি কুথিরা মিনুকাল এ্যালেক্স শ্বেতা রেড্ডী, জননী আয়ার, সানী ওয়েন আজিথ পিলাই

প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে[সম্পাদনা]

বছর চলচ্চিত্র গান সঙ্গীত পরিচালক গীতিকবি
২০১৩ বাইসাইকেল থিবস আইরাম কানুমায় দীপক দেব

পুরস্কার এবং মনোনয়ন[সম্পাদনা]

এশিয়ানেট ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডস[সম্পাদনা]

  • ২০১০: শ্রেষ্ঠ অভিনেতা - খল চরিত্রে - অপুরবারাগাম
  • ২০১১: শ্রেষ্ঠ রাশি জুড়ি - সল্ট এন' পেপ্পার

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]