আশারায়ে মুবাশশারা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

আরবি আশারা শব্দের অর্থ দশ। আর মুবাশশারা অর্থ সুসংবাদপ্রাপ্ত। অতএব, আশারায়ে মুবাশশারা অর্থ সুসংবাদপ্রাপ্ত দশজন। ইসলামি পরিভাষায়, আশারায়ে মুবাশশারা বলতে বোঝায় হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর দশজন সাহাবীকে হাদিস অনুযায়ী যারা জীবদ্দশায় জান্নাতের প্রতিশ্রুতি পেয়েছিলেন।

তাঁদের নাম যথাক্রমে-

ঘটনা[সম্পাদনা]

হিজরী দশম সালে মদিনায় এক ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল। ফলে বহুলোক অনাহারে ও অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছিল। কোনোদিক থেকে সাহায্য-সহযোগিতা ও খাদ্য সামগ্রী আমদানি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছিল না। এমনি এক দিন মহানবি হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) মদিনা মসজিদে খুতবা দান করছিলেন। এমন সময় হঠাৎ সংবাদ এল যে, শামদেশ থেকে প্রচুর খাদ্য সামগ্রী নিয়ে একদল বণিক মদীনায় আগমন করছে। তখন সব সাহাবা-এ-কিরাম বণিক দলের নিকট গমন করে। কেবলমাত্র দশজন সাহাবা তথায় গমন না করে মনোযোগ সহকারে মুহাম্মাদের এর খুতবা শ্রবণে নিমগ্ন রইলেন। হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে একে একে তাঁদের নাম উল্লেখ করে তাদেরকে জান্নাতবাসী বলে ঘোষণা করেন।

হাদিস[সম্পাদনা]

সাঈদ ইবনে যায়িদ বর্ণনা করেন:
আব্দুর রহমান ইবনুল আকনাস বলেন, যে তিনি যখন মসজিদে প্রবেশ করেন তখন একজন ব্যক্তি আলীকে সালাম দেন। তখন সাঈদ ইবনে যায়িদ দাড়িয়ে গেলেন এবং বলেন আমি সাক্ষী দিচ্ছি যে আল্লাহর নবীকে বলতে শুনেছি যে: দশ জন লোক জান্নাতে যাবে: আবু বকর জান্নাতি, উমর জান্নাতি, উসমান জান্নাতি, আলী জান্নাতি, তালহা জান্নাতি: যুবাইর ইবনুল আওয়াম জান্নাতি, আবদুর রহমান ইবনে আউফ জান্নাতি, সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস জান্নাতি, এবং আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ জান্নাতি। আমি কি দশম ব্যক্তির নাম বলব। লোকেরা বলল:কে সে ? তিনি নীরব থাকলেন। লোকেরা আবার বলল : কে সে ? তিনি বললেন:সে হলো সাঈদ ইবনে যায়িদ.

আবদুর রহমান ইবনে আউফ বর্ণনা করেন:
আল্লাহর নবী বলেন: "আল্লাহর নবীকে বলতে শুনেছি যে: দশ জন লোক জান্নাতে যাবে: আবু বকর জান্নাতি, উমর জান্নাতি, উসমান জান্নাতি, আলি জান্নাতি, তালহা জান্নাতি: যুবাইর ইবনুল আওয়াম জান্নাতি, আবদুর রহমান ইবনে আউফ জান্নাতি, সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস জান্নাতি,সাঈদ ইবনে যায়িদ জান্নাতি, এবং আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ জান্নাতি।

শিয়া দৃষ্টিতে[সম্পাদনা]

শিয়ারা এই হাদিস পুরাপুরি প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের মতে এইরকম কোনো হাদিস মুহাম্মদ-কর্তৃক উদ্ধৃত হয় নি।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]