আলোর অপেরণ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ট্রান্সমিশন লাইট নিউটন রিং

আলোর গতি ও পৃথিবীর কক্ষীয় গতির মিলিচ প্রতিক্রিয়ায় কোন খ-বস্তুর আপাত সরণকে জ্যোতির্বিজ্ঞানের পরিভাষায় আলোর অপেরণ বলা হয়।[১] এর অপর নাম হচ্ছে আপাত স্থানচ্যুতি

আবিষ্কার[সম্পাদনা]

বিজ্ঞানী জেমস ব্রাডলি ১৭৩৮ সালে আলোর অপেরণ ক্রিয়া আবিষ্কার করেন। তিনি সর্পমণি নামক একটি নক্ষত্রের (ইংরেজি নাম Gamma-Draconis) লম্বন নির্ণয় করছিলেন এবং এসময় মানের গোলমাল দেখতে পান। এই ক্রিয়াটি কোনভাবেই ব্যাখ্যা করা যাচ্ছিলোনা। এ থেকেই তিনি স্থানচ্যুতি বা অপেরণের ধারণা দেন। এর মাধ্যমেই প্রমাণিত হয় যে শুন্যে পৃথিবী গতিশীল এবং আলোর বেগ সসীম।

ব্যাখ্যা[সম্পাদনা]

অপেরণ দুই ধরনের: বার্ষিক এবং আহ্নিক অপেরণ বা স্থানচ্যুতি।

  • পৃথিবীর আবর্তন বেগ এবং আলোর বেগের জন্য যে স্থানচ্যুতি হয় তাকে আহ্নিক স্থানচ্যুতি বা Diurnal aberration বলে।
  • আবার কোন নির্দিষ্ট সময়ে কোন গ্রহের প্রকৃত দিক এবং আপাত দিকের মধ্যবর্তী কোণকে ঐ সময়ে উক্ত গ্রহের গ্রহগত স্থানচ্যুতি বা Planetary aberration বলে।

এটি প্রমাণ করা হয়েছে যে কোন খ-বস্তুর অপেরণ পৃথিবীর গতির দিক এবং খ-বস্তুর সঠিক দিকের অন্তবর্তী কোণের সাইন অণুপাতের সমানুপাতিক। অর্থাৎ গাণিতিকভাবে,
A = K sin
বৃত্তীয় মান বিবেচনা করলে k এর মান v এবং c এর অণুপাতের সমান। এই k-কে স্থানচ্যুতির ধ্রুবক বলা হয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Pasachoff, Jay M. (২০২২)। "Aberration (astronomy)"McGraw Hill's AccessScience (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-০৯