আলী আমজাদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আলী আমজাদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
অবস্থান
মানচিত্র

তথ্য
ধরনসরকারি
নীতিবাক্যজ্ঞানের প্রদীপ জ্বালো
প্রতিষ্ঠাকাল১৯৩২ খ্রিস্টাব্দ
প্রতিষ্ঠাতামৌল্ভী নওয়াব আলী আমজাদ খান
বিদ্যালয় বোর্ডমাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, সিলেট
শিক্ষাবিষয়ক কর্তৃপক্ষমাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর
বিভাগমাধ্যমিক বিদ্যালয়
প্রধান শিক্ষকরাধেশ্যাম মজুমদার[১]
কর্মকর্তা৫২
শ্রেণীশ্রেণি ৬-১০
Years taught
লিঙ্গবালিকা
শিক্ষার্থী সংখ্যাপ্রায় ১১০০
ভাষাবাংলা ভাষা
ক্যাম্পাস২টি
ওয়েবসাইট[২]

আলী আমজাদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলায় অবস্থিত একটি প্রাচীন সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান[২] প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে এটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছিল এবং পরবর্তীতে পূর্ব বাংলা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করে।[৩] ১৯৬৪ সাল থেকে বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, কুমিল্লার অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পায়। পরবর্তীতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, সিলেট প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে সিলেট বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা দিচ্ছে। এটি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাভুক্ত একটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় যেখানে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যক্রম চালু রয়েছে।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

আলী আমজাদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই বিদ্যালয়টি এই নামে পরিচিত ছিল। বর্তমান কুলাউড়া উপজেলার অন্তর্গত লংলার বিখ্যাত জমিদার মৌলভী নওয়াব আলী আমজাদ খান স্কুলটির জন্য ৮৪ ডেমিমাল জমি দান করেন।[১] বিদ্যালয়টির পুরাতন ক্যাম্পাসটি মনু নদীর তীরে অবস্থিত ছিল। পরবর্তীতে মৌলভীবাজারের দুইজন স্বনামধন্য আইনজীবী, যতীন্দ্র মোহন দেব এবং মধূসুদন দত্ত বর্তমান ক্যাম্পাসের জন্য ১২৩ ডেসিমাল জমি দান করেন।[১] এই জমিতে একটি দ্বিতল আবাসিক ভবন নির্মিত হয়। কালের বিবর্তনে পুরাতন ক্যাম্পাসে নির্মিত টিনশেড ভবনগুলো জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। ১৯৮০[১] সালে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ঊষা দাস পুরাতন ক্যাম্পাস থেকে স্কুলের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বর্তমান ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করার উদ্যোগ নেন।পুরাতন আবাসিক ভবনটি এখন পাঠদানের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। ১৯৮৪[১] সালে মনু নদীর তীর প্লাবিত হয়ে মৌলভীবাজার শহর এক ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে। বন্যায় বিদ্যালয়ের পাঠাগার ও ‍গুরুত্বপূর্ণ পুরনো নথিপত্র পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়।

অবকাঠামো[সম্পাদনা]

বর্তমানে বিদ্যালয়ে তিনটি দ্বিতল ভবন এবং একটি প্রশাসনিক ভবন রয়েছে। পাঠদানের জন্য ২৩ টি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। এছাড়াও বিদ্যালয়ে দুটি বিজ্ঞানাগার, দুটি কম্পিউটার ল্যাব, একটি পাঠাগার, শিক্ষকদের জন্য দুটি বিশ্রামকক্ষ, একটি সম্মেলন কক্ষ এবং একটি প্রার্থনাকক্ষ রয়েছে। এছাড়াও বিদ্যালয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত একটি অত্যাধুনিক কম্পিউটার ল্যাব রয়েছে।

ফলাফল[সম্পাদনা]

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় সাফল্যের সাক্ষর রেখে আসছে। ২০০৮, ২০০৯, ২০১০, ২০১১ এবং ২০১২ সালের এসএসসিতে পাশের হার যথাক্রমে ৮১.১৭%, ৯৩.৬২%, ৯৬.৪৯%, ৯৮.৫৬% এবং ৯৮.৭৫%। [৪] ২০১২ সালে এসএসসিতে ৩১ জন[৪], ২০১৪ সালে এসএসসিতে ৪৩ জন[১] শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ অর্জন করে। এছাড়াও ২০১০ সালের জেএসসি পরীক্ষায় ১৮ জন এবং ২০১১ সালের জেএসসি পরীক্ষায় ১৮ জন[৪] মেধাবৃত্তি লাভ করে স্কুলের মেধাবী শিক্ষার্থীরা। ২০১৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায় সিলেট বোর্ডের প্রথম ২০টি স্কুলের মধ্যে স্কুলটি স্থান করে নেয়। [৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "আলী আমজাদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট"। আলী আমজাদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। ৩০ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০১৪ 
  2. মৌলভীবাজার জেলা, বাংলাপিডিয়া, প্রকাশকাল: [অনুল্লেখিত; সংগ্রহের তারিখ: ৩০ অক্টোবর ২০১৪ খ্রিস্টাব্দ।
  3. দর্পন, বার্ষিকী ২০১২, আলী আমজাদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মৌলভীবাজার, মৌলভীবাজার থেকে প্রকাশিত, পৃ. ৪৩-৪৭; সংগ্রহের তারিখ: ডিসেম্বর ৩১, ২০১২ খ্রিস্টাব্দ।
  4. দর্পন, বার্ষিকী ২০১২, আলী আমজাদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মৌলভীবাজার, মৌলভীবাজার থেকে প্রকাশিত, পৃ. ১৪৪-১৫১; সংগ্রহের তারিখ: ডিসেম্বর ৩১, ২০১২ খ্রিস্টাব্দ।
  5. [১]কালের কণ্ঠ। ২০১৪। সংগৃহীত হয়েছে: ৩০ অক্টোবর, ২০১৪।

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]