আলাপ:মিসির আলি

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
উইকিপ্রকল্প হুমায়ূন আহমেদ (মূল্যায়ন - মান প্রাথমিক, গুরুত্ব উচ্চ)
এই নিবন্ধটি উইকিপ্রকল্প হুমায়ূন আহমেদের অংশ, যা উইকিপিডিয়ায় হুমায়ূন আহমেদ সম্পর্কিত বিষয়ের উন্নতির একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা। আপনি যদি প্রকল্পে অংশগ্রহণ করতে চান, তাহলে প্রকল্প পৃষ্ঠায় যান, যেখানে আপনি প্রকল্পের আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন এবং করণীয় কাজসমূহের একটি তালিকা দেখতে পাবেন।
 প্রাথমিক  এই নিবন্ধটি প্রকল্পের মানের মাপনী অনুযায়ী প্রাথমিক-শ্রেণী হিসাবে মূল্যায়িত হয়েছে।
 উচ্চ  এই নিবন্ধটি গুরুত্বের মাপনী অনুযায়ী উচ্চ-গুরুত্ব হিসাবে মূল্যায়িত হয়েছে।
 

কাহিনী সংক্ষেপ?[সম্পাদনা]

মিসির আলি-কেন্দ্রীক প্রতিটা উপন্যাস আর গল্পের সংক্ষিপ্ত কাহিনী কি এই নিবন্ধেই উল্লেখ করা যায়? দ্রুত জানালে বাধিত হবো। —মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ০৩:৫৫, ১ অক্টোবর ২০১০ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

কেন নয়? এই কষ্টটুকু স্বীকারের জন্য অগ্রীম ধন্যবাদ। - Faizul Latif Chowdhury (আলাপ) ১৭:২০, ১ অক্টোবর ২০১০ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
চরিত্র হিসেবে মিসির আলির গুরুত্ব বিশ্বকোষীয়, কিন্তু মিসির আলি নিয়ে লিখিত প্রতিটি বইয়ের কাহিনী সংক্ষেপ এই নিবন্ধে যোগ করা আমার মতে বিশ্বকোষীয় নয। এটি মিসির আলি চরিত্রের ওপর লেখা নিবন্ধ। এখানে এই সিরিজের প্রতিটি বইয়ের সারসংক্ষেপ লেখা আমার মতে সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয়। সারসংক্ষেপ, কাহিনীসংক্ষেপ স্থান পায়, যখন যেটির সংক্ষেপ করা হচ্ছে তাঁর গুরুত্ব থাকে, যেমন: উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র, টেলিভিশন অনুষ্ঠান, বা বই, ইত্যাদি। ‍‍‍‍‍— তানভিরআলাপ১৯:৩১, ১ অক্টোবর ২০১০ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
তানভিরের সাথে একমত। --রাগিব (আলাপ | অবদান) ০০:৫২, ২ অক্টোবর ২০১০ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

ব্যস, দিলাম তবে বাদ দিয়ে। —মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ০৯:০৮, ২ অক্টোবর ২০১০ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

উল্লেখযোগ্যতা ও বৃহন্নলা[সম্পাদনা]

উপরের বক্তব্যের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি: সত্যজিৎ রায় নিজে একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব। তাঁর লেখা ফেলুদা চরিত্রটিও উল্লেখযোগ্য চরিত্র। ফেলুদা সিরিজের অনেকগুলো কাহিনীই বাজারে রয়েছে বই আকারে। কিছু কাহিনীর উপর চলচ্চিত্র কিংবা নাটক তৈরি হয়েছে। সেগুলো যে চলচ্চিত্র কিংবা সমালোচক পুরষ্কার পেয়ে এক শা করে ফেলেছে, সেরকম কিছু না। অথচ সেগুলো উল্লেখযোগ্য নিবন্ধ হিসেবে উইকিপিডিয়ায় আছে বহাল তবিয়তে। উদাহরণ: জয় বাবা ফেলুনাথ, বোম্বাইয়ের বোম্বেটে, টিনটোরেটোর যীশু, যত কাণ্ড কাঠমাণ্ডুতে ইত্যাদি। ফেলুদা উপন্যাসের প্রথম চিত্রায়ন, দ্বিতীয় চিত্রায়ন কখনোই বিশ্বকোষীয় কিংবা উল্লেখযোগ্য হবার মতো যুক্তি নয়।
এই যুক্তিতে "বৃহন্নলা" নিয়ে নাটক তৈরি হয়েছে দুবার। সেটিও থাকতে পারে। যদিও আমি জানি, কেউ করলো বলে আমিও করার অধিকার পাই না। তাহলে শুধু আমি ঐ লেখাগুলোতে "উল্লেখযোগ্যতা"র ট্যাগ বসানোর অনুমতি চাই, যেমনটা আছে সোনার কেল্লা'র ক্ষেত্রে।
এখানে বৃহন্নলার কাহিনী-সংক্ষেপটা রেখে দিলাম। ভবিষ্যতে যদি কাজে লাগে, তার জন্য। ফেলে দিলেও দেয়া যাবে।

মামাতো ভাইয়ের বিয়ের বরযাত্রায় সঙ্গী হয়ে ঢাকা থেকে নব্বই মাইল দূরের এক মফস্বল শহরে যান লেখক। সেখানে অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে সেরাতে বিয়ে সম্ভব না হওয়ায় বরযাত্রীরা এলাকাতেই বিভিন্ন জনের বাড়িতে ভাগাভাগি করে রাত কাটান। লেখকের রাত কাটাতে হয় ষাট বছর বয়সী সুধাকান্ত ভৌমিক নামক এক বেঁটেখাটো মানুষের নির্জন, নিঃস্তব্ধ বাড়িতে। রাতে দুজনের কারোই ঘুম হয় না, কারণ সুধাকান্তবাবু তাঁর জীবনের এক ভয়ঙ্কর ভৌতিক কাহিনীর অবতারণা করেন লেখকের কাছে। ঘটনাটা মোটামুটি এরকম: সুধাকান্তবাবু যুবক বয়সে ধ্যান-তপস্যা নিয়ে থাকতেন, তাই তাঁর একটা সত্যবাদী পরিচিতি আছে এলাকায়। সে বয়সে তাঁর বিয়ে ঠিক হয় এক মেয়ের সাথে, কিন্তু বিয়ের আগেই সাপের কামড়ে সেই মেয়ে মারা যায়। সেই কষ্টে তিনি চিরকুমার থেকে গেছেন। বেশ অনেকদিন পরে এক রাতে, নদীর ধারে ঝোঁপের মধ্যে তিনি এক যুবতির লাশ খুঁজে পান এবং লাশটিকে হিংস্র পশুর থেকে উদ্ধার করার জন্য তিনি লাশটিকে ঘরে নিয়ে আসেন। সেখানে সেই লাশ হঠাৎ জীবন্ত হয়ে মায়াখেলায় তাঁকে মোহাবিষ্ট করে ফেলে। তখন তিনি তাঁর মৃত আত্মীয়-স্বজনদের উপস্থিতি টের পান এবং তাদের প্ররোচনায় মায়াজাল থেকে মুক্ত হোন, কিন্তু তখন ঐ জীবন্ত লাশ পেছন থেকে তাঁর পা কামড়ে ধরে। ঘটনাটা এপর্যন্তই। এই ভয়ঙ্কর ঘটনা শুনতে শুনতে লেখক নিজেই ঐ বাড়িটিতে অশরীরির অস্তিত্ব টের পান। সেযাত্রা মামাতো ভাইয়ের বিয়ে না হওয়ায় লেখককে ঢাকায় ফিরে আসতে হয়। এরপর সেই রাতের অভিজ্ঞতা লেখক অনেকের কাছে বেশ আগ্রহভরে বর্ণনা করেছেন। লোকমুখে ছড়াতে ছড়াতে এক ছাত্রের কাছে সেই কাহিনী শুনে একদিন তাঁর বাসায় হাজির হোন মিসির আলি। মিসির আলি, লেখকের থেকে ঘটনাটা বিস্তারিত শুনতে চান এবং তাঁর থেকে কয়েকবার শোনেন। তারপর তিনি নিজে ঘটনাটার একটা ব্যক্তিগত তদন্ত করে একটি খাতায় ঘটনাটার সম্ভাব্য ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে চেষ্টা করেন এবং লেখককে নিয়ে একবার সুধাকান্তবাবুর ওখানে যাবার প্রস্তাব করেন, কিন্তু লেখক তাতে রাজি হোন না। অবশেষে ঘটনাচক্রে মিসির আলির সেই ব্যাখ্যা, লেখকের এতোটাই পছন্দ হয়ে যায় যে, তিনি একদিন মিসির আলিকে নিয়ে সুধাকান্তবাবুর বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখানে মিসির আলি সুধাকান্তবাবুর থেকে আবারও ঘটনাটা শোনেন এবং সবশেষে, সেখানে বসেই পুরো আদিভৌতিক, অলৌকিক ঘটনাটার একটা লৌকিক ব্যাখ্যা দেন এবং যুক্তির মাধ্যমে প্রমাণ করেন যে, সুধাকান্তবাবু একজন খুনি। তিনি নিজেই একটি মেয়েকে ধরে এনে তার প্রতি তাঁর কামনার বহিঃপ্রকাশ করে অবশেষে মেয়েটিকে খুন করেছেন। পরিশিষ্টে জানা যায়, সুধাকান্তবাবু থানায় নিজের দোষ স্বীকার করেছেন, এবং বিচার শুরু হবার আগেই থানা-হাজতে তাঁর মৃত্যু হয়।

 —মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ০৯:৪৪, ২ অক্টোবর ২০১০ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

মঈনুল ভাই, যে-কোনো ব্যবহারকারীর যদি কোনো কারণে কোনো কোনো নিবন্ধ/টেমপ্লেট/বিষয়শ্রেণীর উল্লেখযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকে, তবে তিনি তা সবার সাথে আলোচনার জন্য উল্লেখযোগ্যতার ট্যাগ লাগিয়ে আলাপ পাতায় আলোচনা শুরু করতে পারেন। উল্লেখযোগ্যতার ট্যাগ মানেই অপসারণ হবে এমনটি নয়, এটি আলোচনার জন্য উপস্থাপন মাত্র। এক্ষেত্রে আস্থা রেখেই আমরা ভাববো যে, যিনি এই উল্লেখযোগ্যতার ট্যাগ লাগিয়েছেন, তিনি ভালোই চেয়েছেন, খারাপ নয় (যদি না সেটা একেবারেই ননসেন্স ট্যাগিং না হয়)। আপনার প্রশ্ন আপনি আলোচনার জন্য নির্দ্বিধায় উল্লেখযোগ্যতা ট্যাগ লাগান। — তানভিরআলাপ০৯:৫৩, ২ অক্টোবর ২০১০ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
এখানে আরেকটি ব্যাপার বৃহন্নলা বইটি উল্লেখযোগ্য হতে পারে, কিন্তু সেক্ষেত্রে কাহিনীসংক্ষেপ হবে বৃহন্নলা নিবন্ধের আওতাভুক্ত, এটি মিসির আলি নিবন্ধের আওতাভুক্ত নয়। উদাহরণস্বরূপ, পাইরেটস অফ দ্য ক্যারিবিয়ান সিনেমার কাহিনীসংক্ষেপ কিন্তু আমরা জনি ডেপ-এর নিবন্ধে দিই নি, যদিও মূল চরিত্র কিন্তু তিনিই। আশা করি ব্যাপারটা বোঝাতে পারলাম। — তানভিরআলাপ০৯:৫৮, ২ অক্টোবর ২০১০ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
একেবারে খাঁটি কথা। তথাস্ত। —মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ১৬:০২, ২ অক্টোবর ২০১০ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]