আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী

স্থানাঙ্ক: ২৪°২৪′৩৩″ উত্তর ৮৮°৩৬′৩৫″ পূর্ব / ২৪.৪০৯২° উত্তর ৮৮.৬০৯৬° পূর্ব / 24.4092; 88.6096
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী
নীতিবাক্য(আসুন পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে জীবন গড়ি)
স্থাপিত১৯৮১
অধ্যক্ষড. নূরুল ইসলাম (ভারপ্রাপ্ত)
শিক্ষার্থী২৫০০+
ঠিকানা, ,
২৪°২৪′৩৩″ উত্তর ৮৮°৩৬′৩৫″ পূর্ব / ২৪.৪০৯২° উত্তর ৮৮.৬০৯৬° পূর্ব / 24.4092; 88.6096
শিক্ষাঙ্গনশহর
ওয়েবসাইটhttps://amis.edu.bd/
মানচিত্র

আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের রাজশাহী মহানগরীতে অবস্থিত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।[১] মাদ্রাসাটি বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড ও প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পাঠ্যসূচি তত্ত্বাবধায়নে পরিচালিত। আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন।[২][৩][৪][৫]

ক্যাম্পাস[সম্পাদনা]

অত্র প্রতিষ্ঠানটি রাজশাহী মহানগরীর নওদাপাড়া আমচত্বরে অবস্থিত। রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের দু’পাশে প্রায় সাড়ে দশ বিঘা জমির উপর অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটিতে চার তলা ও তিন তলা বিশিষ্ট দু’টি বিরাটাকার ভবন রয়েছে। যার একটি ছাত্রাবাস ও অপরটি একাডেমিক ভবন হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া গ্রন্থাগার, কেন্দ্রীয় মসজিদ ও মিলনায়তন নিয়ে চলছে মাদরাসার সমস্ত কার্যক্রম।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দে সর্বপ্রথম স্থানীয় বয়োজ্যেষ্ঠদের উদ্যোগে এখানে একটি হিফয মাদরাসার কার্যক্রম শুরু হয়। অত:পর ১৯৯১ সালে মাদরাসাটি "আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী" নামকরণ করা হয় এবং আধুনিক অবকাঠামোতে পুনর্নির্মিত হয়। বর্তমানে এখানে একটি হিফজখানা, এতিমখানাসহ প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত পাঠদান করা হয়। এছাড়া সর্বোচ্চ স্তরে ‌'দাওরায়ে হাদীছ' বিভাগ চালু রয়েছে। এখানকার শিক্ষা কারিকুলাম বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের অনুসরণে পরিচালিত হচ্ছে।

প্রশাসন[সম্পাদনা]

আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিভাগের অধীনে এটি পরিচালিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত ৩ জন আলেমে দ্বীন এই মাদরাসার অধ্যক্ষ ছিলেন।

  1. শায়খ আব্দুস সামাদ সালাফী (১৯৯১-২০০৯)[৬]
  2. শায়খ আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ (২০০৯-২০১৪)[৭][৮][৯]
  3. শায়খ আব্দুল খালেক সালাফী (২০১৪-২০২১)
  4. ড. নূরুল ইসলাম (২০২১-বর্তমান। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন)

ছাত্র[সম্পাদনা]

বর্তমানে মাদরাসার ছাত্র ও ছাত্রী শাখায় আবাসিক-অনাবাসিক প্রায় ২৫০০+ শিক্ষার্থী রয়েছে। আলিম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রতি বছর কয়েক জন মেধাবী ছাত্র বিশেষ চুক্তির অধীনে মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সুযোগ পায়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী"। ১৬ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০১৩ 
  2. "BANGLADESH'S AHLE HADITH QAWMI MADRASAS: FEW AND SEPARATE | Wikileaks : May 12, 2009"। মে ৯, ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ১৫, ২০১৩ 
  3. "http://www.thedailystar.net"। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০১৩  |title= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
  4. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০১৩ 
  5. "http://www.thedailystar.net"। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০১৩  |title= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
  6. "দৈনিক সোনার দেশ । অনলাইন সংস্করণ"। ১৬ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০১৩ 
  7. বুধহাটায় আহলে হাদীছ আন্দোলনের সম্মেলন আজ | দৈনিক পত্রদূত
  8. "আল্লাহর অহির আলোকে সমাজ ও দেশ গড়ে তুলতে হবে -মাও. রাযযাক বিন ইউসুফ"দৈনিক মাথাভাঙ্গা। ২০১৩-০৬-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৬-১৫ 
  9. "আহলেহাদীছ আন্দোলন সর্বস্তরে ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি"দৈনিক সংগ্রাম। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০১৩ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]