আগরতলা বইমেলা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আগরতলা আন্তর্জাতিক বইমেলা
মূল মঞ্চ
মেলার ধরণবইমেলা
স্থানহাপানিয়া আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী হল, আগরতলা
সূচনা৩০ মার্চ ১৯৮১
আয়োজকত্রিপুরা সরকার ও বই প্রকাশক
বছর পূর্তি৩৬ তম (২০১৮)

আগরতলা বইমেলা ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় ত্রিপুরা সরকার কর্তৃক আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক বইমেলা। এই মেলা সম্পূর্ণভাবে সরকার কর্তৃক পরিচালিত।[১] ১৯৮১ সালে এই মেলা প্রথম শুরু হয়েছিল।[২] ১২ দিনব্যাপী এই বার্ষিক মেলা প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি বা মার্চ মাসে শুরু হয়ে থাকে।[৩][৪] ২০২০ সালের পূর্ব পর্যন্ত সাধারণত এটি উমাকান্ত একাডেমি বা আগরতলা শিশু-উদ্যানে অনুষ্ঠিত হলেও[৫] এরপর এই মেলা হাপানিয়া আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী হলে সরিয়ে নেওয়া হয়।[৬] কলকাতার অত্যন্ত সমাদৃত মেলা আন্তর্জাতিক কলকাতা পুস্তকমেলা'র মতই আগরতলা বইমেলা ত্রিপুরাতে খুব জনপ্রিয়।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

বইমেলায় ত্রিপুরা সরকারের স্ট্যান্ড, ২০১৮ সালে

১৯৮১ সালে আগরতলা বইমেলা সরকারিভাবে শুরু হলেও অনেকের মতে ১৯৬১ সালে বিলোনীয়া বিদ্যাপীঠ স্কুলের মাঠে প্রথম এই বইমেলার আয়োজন হয়েছিল। ১৯৬৪ সালে সোনামুড়া এন সি ইন্সটিটিউশনে এই বইমেলার আয়োজন করা হয়, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বই বিক্রয়ের জন্য একটি স্টলের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তাছাড়া ১৯৭৮ সালে বিশ্ব যুব উৎসব উপলক্ষে কয়েকটি স্টলের মাধ্যমে ক্ষুদ্র বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ৩০ মার্চ ১৯৮১-তে সরকারি সহায়তায় রবীন্দ্রশতবার্ষিকী ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই মেলার উদ্বোধন হয়।[৭][৮] মেলার উদ্যোক্তা ছিলেন রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নৃপেন চক্রবর্তী[৯]

২০১৭ সালে ত্রিপুরা পাবলিশার্স গিল্ডের সচিব রঘুনাথ সরকার বলেন, "নতুন দিল্লি ও কলকাতা বইমেলার পরে আগরতলা বইমেলা ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় বইমেলা।"[৩]

একই বছরে, আগরতলা বইমেলায় হিন্দু গোষ্ঠী কাশ্মীর বইয়ের বিরুদ্ধে মেলায় বিক্ষোভ মিছিল করে যার প্রতিক্রিয়ায় রাজ্য তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী সরকার বইমেলায় বিক্ষোভ সহ্য করবে না বলে জানায়।[১০]

এর দুই বছর পরে ভারতের ছাত্র ফেডারেশনের স্টলের বিরুদ্ধে গুজরাত ফাইলস বই নিয়ে মেলায় আরেকটি বিক্ষোভ করা হয়।[১১]

অংশগ্রহণকারী[সম্পাদনা]

আগরতলা বইমেলায় সারিবদ্ধ বইয়ের স্টল
ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টল
কলকাতার পুস্তক প্রকাশনীর স্টল

৪০তম আগরতলা বইমেলায় ১৬২টি স্টল ছিলো।[৪] যা ছিলো ৩৮তম বইমেলার স্টলের সংখ্যার চেয়ে ৩৩টি বেশি। নতুন দিল্লি, কলকাতা ও বিভিন্ন রাজ্য ছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকাশনার স্টলও এই বইমেলায় বসে।[১২]

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান[সম্পাদনা]

ত্রিপুরা সরকারের তথ্য ও পর্যটন দপ্তর এই মেলায় প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে।[১৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "আগরতলা বইমেলার আকর্ষণ বাংলাদেশের বই"প্রথম আলো। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭। 
  2. চক্রবর্তী, তরুণ (২৮ জানুয়ারি ২০১৯)। "শুরু হচ্ছে আগরতলা বইমেলা, মূল আকর্ষণ বাংলাদেশ"প্রথম আলো 
  3. "Agartala book fair begins, bibliomania grips people"Business Standard (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১২ 
  4. "শুরু হলো ৪০তম আগরতলা বইমেলা"বাংলানিউজ ২৪। ২৫ মার্চ ২০২২। 
  5. দেব, দেবরাজ (২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০)। "Agartala Book Fair venue change: CM Biplab Deb says 'reflects new mindset'"দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস (ইংরেজি ভাষায়)। 
  6. "12 day long 38th Agartala book fair inaugurated"www.tripurachronicle.in (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০২-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১২ 
  7. "দেশ বিদেশের বই মেলা!"NewsnViewsBD। ৮ আগস্ট ২০১৬। 
  8. Smaranika 37th Agartala Baimela 2019, Published by Information & Cultural Affairs Department, Government of Tripura, Agartala, 2019, page - 148. (in Bengali)
  9. "আগরতলা বইমেলা শুরু"আনন্দবাজার পত্রিকা। ১ মার্চ ২০১২। 
  10. "Hindu group protests against Kashmir book at Agartala book fair"গ্রেটার কাশ্মীর (ইংরেজি ভাষায়)। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭। 
  11. দেব, দেবরাজ (১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯)। "Agartala Book Fair: Students protest against SFI bookstall"দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস (ইংরেজি ভাষায়)। 
  12. "শুরু হলো ৩৮তম আগরতলা বইমেলা"বাংলা নিউজ ২৪। ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০। 
  13. "Agartala book fair will be inaugurated in Feb 11"দ্য ডেইলি সান (ইংরেজি ভাষায়)। ৬ জানুয়ারি ২০১৭। 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]