করোনাভাইরাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
+বিবর্তন
+মানব করোনাভাইরাস
৮৮ নং লাইন: ৮৮ নং লাইন:


[[আলপাকা]] করোনাভাইরাস এবং মানব করোনাভাইরাস ২২৯ই ১৯৬০-এর দিকে উৎপত্তি লাভ করে।<ref name="Crossley2012">{{cite journal | vauthors = Crossley BM, Mock RE, Callison SA, Hietala SK | title = Identification and characterization of a novel alpaca respiratory coronavirus most closely related to the human coronavirus 229E | journal = Viruses | volume = 4 | issue = 12 | pages = 3689–700 | date = December 2012 | pmid = 23235471 | pmc = 3528286 | doi = 10.3390/v4123689}}</ref>
[[আলপাকা]] করোনাভাইরাস এবং মানব করোনাভাইরাস ২২৯ই ১৯৬০-এর দিকে উৎপত্তি লাভ করে।<ref name="Crossley2012">{{cite journal | vauthors = Crossley BM, Mock RE, Callison SA, Hietala SK | title = Identification and characterization of a novel alpaca respiratory coronavirus most closely related to the human coronavirus 229E | journal = Viruses | volume = 4 | issue = 12 | pages = 3689–700 | date = December 2012 | pmid = 23235471 | pmc = 3528286 | doi = 10.3390/v4123689}}</ref>

== মানব করোনাভাইরাস ==
ক্ষতির সম্ভাবনার দিক থেকে করোনাভাইরাস বেশ বৈচিত্র্যময়। কিছু প্রকরণ আক্রান্তের ৩০%-এরও বেশিকে মেরে ফেলে (যেমন [[মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম-সম্পর্কিত করোনাভাইরাস|মার্স-কোভি]]), কিছু প্রকরণ মোটামুটি নিরীহ, যেমন সাধারণ ঠাণ্ডা।<ref name="pmid25720466"/> করোনাভাইরাস ঠাণ্ডার পাশাপাশি বড় ধরণের কিছু উপসর্গ সৃষ্টি করে, যেমন [[জ্বর]], ফুলে যাওয়া [[অ্যাডিনয়েড|অ্যাডিনয়েডের]] ফলে [[গলা ব্যথা]]। এগুলো সাধারণত শীতকালে এবং বসন্ত ঋতুর শুরুর দিকে হয়।<ref>{{cite journal | vauthors = Liu P, Shi L, Zhang W, He J, Liu C, Zhao C, Kong SK, Loo JF, Gu D, Hu L | display-authors = 6 | title = Prevalence and genetic diversity analysis of human coronaviruses among cross-border children | language = En | journal = Virology Journal | volume = 14 | issue = 1 | pages = 230 | date = November 2017 | pmid = 29166910 | pmc = 5700739 | doi = 10.1186/s12985-017-0896-0}}</ref> করোনাভাইরাস [[নিউমোনিয়া]] ঘটাতে পারে (সরাসরিভাবে [[ভাইরাসজনিত নিউমোনিয়া]] অথবা পরোক্ষভাবে [[ব্যাকটেরিয়াজনিত নিউমোনিয়া]]) এবং [[ব্রঙ্কাইটিস|ব্রঙ্কাইটিসের]] (সরাসরিভাবে [[ভাইরাসজনিত ব্রঙ্কাইটিস]] অথবা পরোক্ষভাবে [[ব্যাকটেরিয়াজনিত ব্রঙ্কাইটিস]]) মাধ্যমে।<ref name="pmid19199189">{{cite journal | vauthors = Forgie S, Marrie TJ | title = Healthcare-associated atypical pneumonia | journal = Seminars in Respiratory and Critical Care Medicine | volume = 30 | issue = 1 | pages = 67–85 | date = February 2009 | pmid = 19199189 | doi = 10.1055/s-0028-1119811}}</ref> ২০০৩ সালে [[সার্স করোনাভাইরাস|সার্স-কোভি]] ছড়ানোর পর থেকে করোনাভাইরাস পরিচিতি পায়। এই ভাইরাস একইসাথে [[সিভিয়ার এ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম]] (সার্স) এবং [[উর্ধ্ব শ্বাসনালী সংক্রমণ|উর্ধ্ব]] এবং [[নিম্ন শ্বাসনালী সংক্রমণ]] ঘটায়।<ref name="pmid19199189" />

মানব করোনাভাইরাসের নিম্নলিখিত প্রকরণ আবিষ্কৃত হয়েছে:

#[[মানব করোনাভাইরাস ২২৯ই]] (এইচকোভি-২২৯ই)
#[[মানব করোনাভাইরাস ওসি৪৩]] (এইচকোভি-ওসি৪৩)
#[[সিভিয়ার এ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম]] (সার্স-কোভি)
#[[মানব করোনাভাইরাস এনএল৬৩]] (এইচকোভি-এনএল৬৩, নিউ হ্যাভেন করোনাভাইরাস)
#[[মানব করোনাভাইরাস এইচকেইউ১]]
#[[মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম-সম্পর্কিত করোনাভাইরাস]] (মার্স-কোভি), পূর্বে “নোভেল করোনাভাইরাস ২০১২” এবং “এইচকোভি-ইএমসি” হিসেবে পরিচিত ছিল
#[[সিভিয়ার এ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম করোনাভাইরাস ২]] (সার্স-কোভি-২), পূর্বে “২০১৯-কোভি” বা “নোভেল করোনাভাইরাস ২০১৯” হিসেবে পরিচিত ছিল

করোনাভাইরাস এইচকোভি-২২৯ই, -এনএল৬৩, -ওসি৪৩ এবং -এইচকেইউআই মানুষের মধ্যে ক্রমাগত ছড়ায় এবং বিশ্বজুড়ে প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশুদের শ্বসনতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়।<ref name="pmid29551135">{{cite journal | vauthors = Corman VM, Muth D, Niemeyer D, [[Christian Drosten|Drosten C]] | title = Hosts and Sources of Endemic Human Coronaviruses | journal = Advances in Virus Research | volume = 100 | issue = | pages = 163–88 | date = 2018 | pmid = 29551135 | doi = 10.1016/bs.aivir.2018.01.001 | isbn = 978-0-12-815201-0}}</ref>


==তথ্যসূত্র==
==তথ্যসূত্র==

০৭:২৮, ২০ মার্চ ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

করোনাভাইরাস
ভাইরাসের শ্রেণীবিন্যাস
গ্রুপ: ৪র্থ গ্রুপ ((+)ssRNA)
বর্গ: নিদুভাইরাস
পরিবার: করোনাভাইরদা
উপপরিবার: করোনাভাইরিনা
গণ:
  • আলফাকরোনাভাইরাস
  • বেটাকরোনাভাইরাস
  • ডেল্টাকরোনাভাইরাস
  • গামাকরোনাভাইরাস
আদর্শ প্রজাতি
করোনাভাইরাস

করোনাভাইরাস হল একই শ্রেণীভুক্ত ভাইরাস যারা স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং পাখি আক্রান্ত করে। মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস শ্বাসনালী সংক্রমণ ঘটায়। এই সংক্রমণের লক্ষণ মৃদু হতে পারে, অনেকসময় যা সাধারণ ঠাণ্ডাজ্বরের ন্যায় মনে হয় (এছাড়া অন্য কিছুও হতে পারে, যেমন রাইনোভাইরাস), কিছু ক্ষেত্রে তা অন্যান্য মারাত্মক ভাইরাসের জন্য হয়ে থাকে, যেমন সার্স, মার্স এবং কোভিড-১৯। অন্যান্য প্রজাতিতে এই লক্ষণের তারতম্য দেখা যায়। যেমন মুরগির মধ্যে এটা উর্ধ্ব শ্বাসনালী সংক্রমণ ঘটায়, আবার গরু ও শূকরে এটি ডায়রিয়া সৃষ্টি করে। মানবদেহে সৃষ্ট করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়ানোর মত কোনো ভ্যাক্সিন বা অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ আজও আবিষ্কৃত হয়নি।

করোনাভাইরাস রাইবোভিরিয়া পর্বের নিদুভাইরাস বর্গের করোনাভিরিডি গোত্রের অর্থোকরোনাভিরিন্যা উপ-গোত্রের সদস্য।[১][২] তারা পজিটিভ সেন্স একক সূত্রবিশিষ্ট আবরণীবদ্ধ বা এনভেলপড ভাইরাস। তাদের নিউক্লিওক্যাপসিড সর্পিলাকৃতির। এর জিনোমের আকার সাধারণত ২৭ থেকে ৩৪ কিলো বেস-পেয়ার (kilo base-pair) এর মধ্যে হয়ে থাকে যা এ ধরনের আরএনএ ভাইরাসের মধ্যে সর্ববৃহৎ।[৩] করোনাভাইরাস শব্দটি ল্যাটিন করোনা থেকে নেওয়া হয়েছে যার অর্থ মুকুট। কারণ দ্বিমাত্রিক সঞ্চালন ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রে ভাইরাসটির ক্লাব-আকৃতির প্রোটিন স্পাইকের কারণে একে দেখতে অনেকটা মুকুট বা সৌর করোনার মত। ভাইরাসের উপরিভাগ প্রোটিন সমৃদ্ধ থাকে যা ভাইরাল স্পাইক পেপলোমার দ্বারা এর অঙ্গসংস্থান গঠন করে। এ প্রোটিন সংক্রমিত হওয়া টিস্যু বিনষ্ট করে। ভাইরাসটি ডাইমরফিজম রুপ প্রকাশ করে। ধারনা করা হয়, প্রাণীর দেহ থেকে এই ভাইরাস প্রথম মানবদেহে প্রবেশ করে।

ইতিহাস

করোনাভাইরাস ১৯৬০-এর দশকে প্রথম আবিষ্কৃত হয়। প্রথমদিকে মুরগির মধ্যে সংক্রামক ব্রঙ্কাইটিস ভাইরাস হিসেবে এটি প্রথম দেখা যায়। পরে সাধারণ সর্দি-হাঁচি-কাশিতে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে এরকম দুই ধরনের ভাইরাস পাওয়া যায়। মানুষের মধ্যে পাওয়া ভাইরাস দুটি ‘মনুষ্য করোনাভাইরাস ২২৯ই’ এবং ‘মনুষ্য করোনাভাইরাস ওসি৪৩’ নামে নামকরণ করা হয়।[৪] এরপর থেকে বিভিন্ন সময় ভাইরাসটির আরো বেশ কিছু প্রজাতি পাওয়া যায় যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ২০০৩ সালে। ‘এসএআরএস-সিওভি’, ২০০৪ সালে ‘এইচসিওভি এনএল৬৩’, ২০০৫ সালে ‘এইচকেইউ১’, ২০১২ সালে ‘এমইআরএস-সিওভি’ এবং সর্বশেষ ২০১৯ সাল চীনে ‘নোভেল করোনাভাইরাস’। এগুলোর মধ্যে অধিকাংশ ভাইরাসের ফলে শ্বাসকষ্টের গুরুতর সংক্রমণ দেখা দেয়।[৫]

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির প্রাথমিক লক্ষণ

  • জ্বর
  • অবসাদ
  • শুষ্ক কাশি
  • বমি হওয়া
  • শ্বাস কষ্ট
  • গলা ব্যাথা
  • অঙ্গ বিকল হওয়া
  • মাথা ব্যাথা
  • পেটের সমস্যা
  • কিছু রোগীর ক্ষেত্রে উপরোক্ত সকল উপসর্গ দেখা গেলেও জ্বর থাকেনা।[৬]

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব (২০১৯-২০২০)

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাসের একটি প্রজাতির সংক্রামণ দেখা দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভাইরাসটিকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ‘২০১৯-এনসিওভি’ নামকরণ করে। ২০২০ সালের ১৩ মার্চ পর্যন্ত চীনের সাথে সাথে ১২১টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে সংক্রমণের খবর পাওয়া যায় যাতে ৮,৯৬০ জনের বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করে। নিশ্চিতভাবে বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলে আরো ২,১৯,৩৮৪ জন রোগী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং ৮৫,৭৪৯ জনের বেশি লোক চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে ওঠেছে বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

উহানে দেখা দেওয়া ভাইরাস প্রজাতিটি ‘এসএআরএস-সিওভি’ প্রজাতির সাথে ~৭০% জিনগত মিল পাওয়া যায়।[৭] অনেকেই অনুমান করছেন নতুন এ প্রজাতিটি সাপ থেকে এসেছে যদিও অনেক গবেষক এ মতের বিরোধীতা করেন।[৮]

শব্দতত্ত্ব

“করোনাভাইরাস” নামটির উৎপত্তি ল্যাটিন শব্দ করোনা থেকে যার অর্থ “মুকুট” বা “হার”। করোনা শব্দটি নিজে গ্রিক κορώνη korṓnē থেকে এসেছে যার অর্থ “মালা” বা “হার”। নামটি ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপের মাধ্যমে ভিরিয়নের (ভাইরাসের সংক্রামক আকার) বৈশিষ্ট্যমূলক উপস্থিতিকে নির্দেশ করে। ভিরিয়নের বিশাল কন্দাকৃতি পৃষ্ঠ অভিক্ষেপযুক্ত প্রান্ত রয়েছে যা মুকুটের স্মৃতি তৈরি করে। এর অঙ্গসংস্থান ভাইরাল স্পাইক পেপলোমারের দ্বারা তৈরি হয়েছে যেগুলো মূলত ভাইরাসের পৃষ্ঠে অবস্থিত প্রোটিন।

অঙ্গসংস্থান

Cross-sectional model of a coronavirus
করোনাভাইরাসের প্রস্থচ্ছেদ

করোনাভাইরাস বাল্বাস পৃষ্ঠের সাথে প্লিওমরফিক গোলাকার কণাসদৃশ।[৯] ভাইরাস কণার ব্যাস প্রায় ১২০ ন্যানোমিটার।[১০] ইলেক্ট্রন মাইক্রোগ্রাফগুলিতে ভাইরাসের আচ্ছাদনটি ইলেক্ট্রন গাঢ় শাঁসগুলির একটি পৃথক জোড়া হিসাবে উপস্থিত হয়। [১১]

সকল প্রজাতির করোনাভাইরাসে সাধারণত স্পাইক (এস), এনভেলপ (ই), মেমব্রেন (এম) এবং নিউক্লিওক্যাপসিড (এন) নামক চার ধরনের প্রোটিন দেখা যায়। ভাইরাল আচ্ছাদনে একটি লিপিড বাইলেয়ার থাকে যেখানে ঝিল্লি (এম), আচ্ছাদন (ই) এবং স্পাইক (এস) কাঠামোগত প্রোটিন নোঙ্গর থাকে।[১২] করোনাভাইরাসগুলির একটি উপসেট (বিশেষত বেটাকোরোনাভাইরাস "সাবগ্রুপ এ"-এর ​​সদস্যদের) হিমাগ্লুটিনিন অ্যাস্টেরেস নামে একটি সংক্ষিপ্ত স্পাইক-জাতীয় পৃষ্ঠ-প্রোটিন রয়েছে।[১৩]

সঞ্চালন

হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে সৃষ্ট পানিকণার ফলে আক্রান্তর সংস্পর্শে অপর ব্যক্তি আক্রান্ত হতে পারে।[১৪] করোনাভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের সাথে আক্রমণের শিকার হতে যাওয়ার কোষের হোস্ট কোষের গ্রাহকপ্রান্তের মিথস্ক্রিয়াই টিস্যু ট্রপিজম, সংক্রাম্যতা এবং প্রজাতির ব্যাপ্তি ইত্যাদির ব্যাপারে তথ্য দেয়।[১৫][১৬] উদাহরণস্বরূপ, সার্স করোনাভাইরাস অ্যাঞ্জিওটেনসিন-রূপান্তরিত এনজাইম ২ (এসিই ২) মানবকোষে সংযুক্তির মাধ্যমে সংক্রামণ ঘটায়।[১৭]

শ্রেণিবিন্যাস

করোনাভাইরাসের ফাইলোজেনেটিক বৃক্ষ

করোনাভাইরাসের বৈজ্ঞানিক নাম Orthocoronavirinae (অর্থোকরোনাভিরিনি) বা Coronavirinae (করোনাভিরিন্যা) করোনাভাইরাস করোনাভিরিডি পরিবারের সদস্য।

বিবর্তন

সকল প্রকার করোনাভাইরাসের সর্বশেষ সাধারণ পূর্বপুরুষ (মোস্ট রিসেন্ট কমন অ্যানসেস্টর বা এমআরসিএ) এর উৎপত্তি ঘটে আনুমানিক ৮০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে[১৮] আলফাকরোনাভাইরাসের এমআরসিএ ধারা ২৪০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে, বেটাকরোনাভাইরাসের ধারা ৩৩০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে, গামাকরোনাভাইরাসের ধারা ২৮০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এবং ডেল্টাকরোনাভাইরাসের ধারা ৩০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তৈরি হয়েছে। বাদুর এবং পাখির মত উড়ন্ত উষ্ণরক্তধারী মেরুদণ্ডী প্রাণীরাই করোনাভাইরাস জিন-উৎসের বিবর্তন এবং ছড়িয়ে দেওয়ার আদর্শ বাহক (বাদুড়ের জন্য আলফা ও বেটা করোনাভাইরাস, পাখির জন্য গামা এবং ডেল্টাকরোনাভাইরাস)।[১৯]

বোভাইন করোনাভাইরাস এবং ক্যানাইন শ্বসনযন্ত্রের করোনাভাইরাসের শেষ পূর্বপুরুষ এসেছে (~ ১৯৫০) এর দিকে।[২০] বোভাইন এবং মানব করোনাভাইরাস ওসি৪৩ ১৮৯০-এর দিকে ছড়ায়। বোভাইন করোনাভাইরাস ছড়ায় ইকুয়াইন করোনাভাইরাস প্রজাতি থেকে, ১৮ শতকের শেষদিকে।[২১]

মানব করোনাভাইরাস ওসি৪৩-এর এমআরসিএ ১৯৫০-এর দিকে উৎপত্তি লাভ করে।[২২]

মার্স-কোভি কিছু বাদুড়ের করোনাভাইরাস প্রজাতির সাথে সম্পর্কযুক্ত হলেও ধারণা করা হয় বেশকিছু শতাব্দী আগে এর উৎপত্তি ঘটে।[২৩] মানব করোনাভাইরাস এনএল৬৩ এবং একটি বাদুড়ের করোনাভাইরাসের এমআরসিএ ৫৬৩-৮২২ বছর আগে উৎপত্তি লাভ করে।[২৪]

১৯৮৬ সালে বাদুড় করোনাভাইরাস এবং সার্স-কোভির সাথে সম্পর্কযুক্ত ভাইরাস উৎপত্তি লাভ করে।[২৫] বাদুড়ের সাথে সম্পর্কযুক্ত সার্স ভাইরাসের বিবর্তনের একটু যাত্রাপথ ব্যাখ্যা করা হয়েছে। গবেষকেরা মনে করেন, করোনাভাইরাস দীর্ঘসময় ধরে বাদুড়ের সাথে সাথে বিবর্তিত হয়েছে এবং সার্স-কোভির উত্তরসূরীরা প্রথমে হিপোসিডারিডি গণের প্রজাতির মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। এরপরে তা রাইনোলফিডির প্রজাতির মধ্যে, পরবর্তীতে ভামের মধ্যে এটি ছড়ায় এবং সর্বশেষে ছড়ায় মানুষের মধ্যে।[২৬][২৭]

আলপাকা করোনাভাইরাস এবং মানব করোনাভাইরাস ২২৯ই ১৯৬০-এর দিকে উৎপত্তি লাভ করে।[২৮]

মানব করোনাভাইরাস

ক্ষতির সম্ভাবনার দিক থেকে করোনাভাইরাস বেশ বৈচিত্র্যময়। কিছু প্রকরণ আক্রান্তের ৩০%-এরও বেশিকে মেরে ফেলে (যেমন মার্স-কোভি), কিছু প্রকরণ মোটামুটি নিরীহ, যেমন সাধারণ ঠাণ্ডা।[২৯] করোনাভাইরাস ঠাণ্ডার পাশাপাশি বড় ধরণের কিছু উপসর্গ সৃষ্টি করে, যেমন জ্বর, ফুলে যাওয়া অ্যাডিনয়েডের ফলে গলা ব্যথা। এগুলো সাধারণত শীতকালে এবং বসন্ত ঋতুর শুরুর দিকে হয়।[৩০] করোনাভাইরাস নিউমোনিয়া ঘটাতে পারে (সরাসরিভাবে ভাইরাসজনিত নিউমোনিয়া অথবা পরোক্ষভাবে ব্যাকটেরিয়াজনিত নিউমোনিয়া) এবং ব্রঙ্কাইটিসের (সরাসরিভাবে ভাইরাসজনিত ব্রঙ্কাইটিস অথবা পরোক্ষভাবে ব্যাকটেরিয়াজনিত ব্রঙ্কাইটিস) মাধ্যমে।[৩১] ২০০৩ সালে সার্স-কোভি ছড়ানোর পর থেকে করোনাভাইরাস পরিচিতি পায়। এই ভাইরাস একইসাথে সিভিয়ার এ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (সার্স) এবং উর্ধ্ব এবং নিম্ন শ্বাসনালী সংক্রমণ ঘটায়।[৩১]

মানব করোনাভাইরাসের নিম্নলিখিত প্রকরণ আবিষ্কৃত হয়েছে:

  1. মানব করোনাভাইরাস ২২৯ই (এইচকোভি-২২৯ই)
  2. মানব করোনাভাইরাস ওসি৪৩ (এইচকোভি-ওসি৪৩)
  3. সিভিয়ার এ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (সার্স-কোভি)
  4. মানব করোনাভাইরাস এনএল৬৩ (এইচকোভি-এনএল৬৩, নিউ হ্যাভেন করোনাভাইরাস)
  5. মানব করোনাভাইরাস এইচকেইউ১
  6. মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম-সম্পর্কিত করোনাভাইরাস (মার্স-কোভি), পূর্বে “নোভেল করোনাভাইরাস ২০১২” এবং “এইচকোভি-ইএমসি” হিসেবে পরিচিত ছিল
  7. সিভিয়ার এ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম করোনাভাইরাস ২ (সার্স-কোভি-২), পূর্বে “২০১৯-কোভি” বা “নোভেল করোনাভাইরাস ২০১৯” হিসেবে পরিচিত ছিল

করোনাভাইরাস এইচকোভি-২২৯ই, -এনএল৬৩, -ওসি৪৩ এবং -এইচকেইউআই মানুষের মধ্যে ক্রমাগত ছড়ায় এবং বিশ্বজুড়ে প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশুদের শ্বসনতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়।[৩২]

তথ্যসূত্র

  1. de Groot RJ, Baker SC, Baric R, Enjuanes L, Gorbalenya AE, Holmes KV, Perlman S, Poon L, Rottier PJ, Talbot PJ, Woo PC, Ziebuhr J (২০১১)। "Family Coronaviridae"। AMQ King, E Lefkowitz, MJ Adams, EB Carstens। Ninth Report of the International Committee on Taxonomy of Viruses। Elsevier, Oxford। পৃষ্ঠা 806–828। আইএসবিএন 978-0-12-384684-6 
  2. International Committee on Taxonomy of Viruses (২৪ আগস্ট ২০১০)। "ICTV Master Species List 2009 – v10" (xls) 
  3. Sexton NR, Smith EC, Blanc H, Vignuzzi M, Peersen OB, Denison MR (আগস্ট ২০১৬)। "Homology-Based Identification of a Mutation in the Coronavirus RNA-Dependent RNA Polymerase That Confers Resistance to Multiple Mutagens"Journal of Virology90 (16): 7415–28। ডিওআই:10.1128/JVI.00080-16পিএমআইডি 27279608পিএমসি 4984655অবাধে প্রবেশযোগ্যCoVs also have the largest known RNA virus genomes, ranging from 27 to 34 kb (31, 32), and increased fidelity in CoVs is likely required for the maintenance of these large genomes (14). 
  4. Geller C, Varbanov M, Duval RE (নভেম্বর ২০১২)। "Human coronaviruses: insights into environmental resistance and its influence on the development of new antiseptic strategies"Viruses4 (11): 3044–3068। ডিওআই:10.3390/v4113044পিএমআইডি 23202515পিএমসি 3509683অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  5. "2019 Novel Coronavirus infection (Wuhan, China): Outbreak update"Canada.ca। ২০২০-০১-২১। 
  6. symptoms of coronavirus
  7. "ClinicalKey"www.clinicalkey.com। ২০১৩-০৪-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৩ 
  8. "No, the Wuhan Virus Is Not a 'Snake Flu'"Wired। ২০২০-০১-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৪ 
  9. Goldsmith CS, Tatti KM, Ksiazek TG, Rollin PE, Comer JA, Lee WW, ও অন্যান্য (ফেব্রুয়ারি ২০০৪)। "Ultrastructural characterization of SARS coronavirus"Emerging Infectious Diseases10 (2): 320–6। ডিওআই:10.3201/eid1002.030913পিএমআইডি 15030705পিএমসি 3322934অবাধে প্রবেশযোগ্যVirions acquired an envelope by budding into the cisternae and formed mostly spherical, sometimes pleomorphic, particles that averaged 78 nm in diameter (Figure 1A). 
  10. Fehr AR, Perlman S (২০১৫)। Maier HJ, Bickerton E, Britton P, সম্পাদকগণ। "An Overview of Their Replication and Pathogenesis; Section 2 Genomic Organization"Methods in Molecular Biology। Springer। 1282: 1–23। আইএসবিএন 978-1-4939-2438-7ডিওআই:10.1007/978-1-4939-2438-7_1পিএমআইডি 25720466পিএমসি 4369385অবাধে প্রবেশযোগ্যSee section: Virion Structure. 
  11. Neuman BW, Adair BD, Yoshioka C, Quispe JD, Orca G, Kuhn P, ও অন্যান্য (আগস্ট ২০০৬)। "Supramolecular architecture of severe acute respiratory syndrome coronavirus revealed by electron cryomicroscopy"Journal of Virology80 (16): 7918–28। ডিওআই:10.1128/JVI.00645-06পিএমআইডি 16873249পিএমসি 1563832অবাধে প্রবেশযোগ্যParticle diameters ranged from 50 to 150 nm, excluding the spikes, with mean particle diameters of 82 to 94 nm; Also See Figure 1 for double shell. 
  12. Lai MM, Cavanagh D (১৯৯৭)। "The molecular biology of coronaviruses"। Advances in Virus Research48: 1–100। আইএসবিএন 9780120398485ডিওআই:10.1016/S0065-3527(08)60286-9পিএমআইডি 9233431 
  13. de Groot RJ, Baker SC, Baric R, Enjuanes L, Gorbalenya AE, Holmes KV, Perlman S, Poon L, Rottier PJ, Talbot PJ, Woo PC, Ziebuhr J (২০১১)। "Family Coronaviridae"। King AM, Lefkowitz E, Adams MJ, Carstens EB, International Committee on Taxonomy of Viruses, International Union of Microbiological Societies. Virology Division। Ninth Report of the International Committee on Taxonomy of Viruses। Oxford: Elsevier। পৃষ্ঠা 806–28। আইএসবিএন 978-0-12-384684-6 
  14. "Transmission of Novel Coronavirus (2019-nCoV) | CDC"www.cdc.gov (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০১-৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-০১ 
  15. Masters PS (২০০৬-০১-০১)। "The molecular biology of coronaviruses"। Advances in Virus Research। 66। Academic Press: 193–292। আইএসবিএন 9780120398690ডিওআই:10.1016/S0065-3527(06)66005-3পিএমআইডি 16877062Nevertheless, the interaction between S protein and receptor remains the principal, if not sole, determinant of coronavirus host species range and tissue tropism. 
  16. Cui J, Li F, Shi ZL (মার্চ ২০১৯)। "Origin and evolution of pathogenic coronaviruses"। Nature Reviews. Microbiology17 (3): 181–192। ডিওআই:10.1038/s41579-018-0118-9পিএমআইডি 30531947Different SARS-CoV strains isolated from several hosts vary in their binding affinities for human ACE2 and consequently in their infectivity of human cells76,78 (Fig. 6b) 
  17. Li F, Li W, Farzan M, Harrison SC (সেপ্টেম্বর ২০০৫)। "Structure of SARS coronavirus spike receptor-binding domain complexed with receptor"Science309 (5742): 1864–68। ডিওআই:10.1126/science.1116480পিএমআইডি 16166518বিবকোড:2005Sci...309.1864L 
  18. Wertheim JO, Chu DK, Peiris JS, Kosakovsky Pond SL, Poon LL (জুন ২০১৩)। "A case for the ancient origin of coronaviruses"Journal of Virology87 (12): 7039–45। ডিওআই:10.1128/JVI.03273-12পিএমআইডি 23596293পিএমসি 3676139অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  19. Woo PC, Lau SK, Lam CS, Lau CC, Tsang AK, Lau JH, ও অন্যান্য (এপ্রিল ২০১২)। "Discovery of seven novel Mammalian and avian coronaviruses in the genus deltacoronavirus supports bat coronaviruses as the gene source of alphacoronavirus and betacoronavirus and avian coronaviruses as the gene source of gammacoronavirus and deltacoronavirus"Journal of Virology86 (7): 3995–4008। ডিওআই:10.1128/JVI.06540-11পিএমআইডি 22278237পিএমসি 3302495অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  20. Bidokhti MR, Tråvén M, Krishna NK, Munir M, Belák S, Alenius S, Cortey M (সেপ্টেম্বর ২০১৩)। "Evolutionary dynamics of bovine coronaviruses: natural selection pattern of the spike gene implies adaptive evolution of the strains"The Journal of General Virology94 (Pt 9): 2036–49। ডিওআই:10.1099/vir.0.054940-0পিএমআইডি 23804565 
  21. Vijgen L, Keyaerts E, Moës E, Thoelen I, Wollants E, Lemey P, ও অন্যান্য (ফেব্রুয়ারি ২০০৫)। "Complete genomic sequence of human coronavirus OC43: molecular clock analysis suggests a relatively recent zoonotic coronavirus transmission event"Journal of Virology79 (3): 1595–604। ডিওআই:10.1128/jvi.79.3.1595-1604.2005পিএমআইডি 15650185পিএমসি 544107অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  22. Lau SK, Lee P, Tsang AK, Yip CC, Tse H, Lee RA, ও অন্যান্য (নভেম্বর ২০১১)। "Molecular epidemiology of human coronavirus OC43 reveals evolution of different genotypes over time and recent emergence of a novel genotype due to natural recombination"Journal of Virology85 (21): 11325–37। ডিওআই:10.1128/JVI.05512-11পিএমআইডি 21849456পিএমসি 3194943অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  23. Lau SK, Li KS, Tsang AK, Lam CS, Ahmed S, Chen H, ও অন্যান্য (আগস্ট ২০১৩)। "Genetic characterization of Betacoronavirus lineage C viruses in bats reveals marked sequence divergence in the spike protein of pipistrellus bat coronavirus HKU5 in Japanese pipistrelle: implications for the origin of the novel Middle East respiratory syndrome coronavirus"Journal of Virology87 (15): 8638–50। ডিওআই:10.1128/JVI.01055-13পিএমআইডি 23720729পিএমসি 3719811অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  24. Huynh J, Li S, Yount B, Smith A, Sturges L, Olsen JC, ও অন্যান্য (ডিসেম্বর ২০১২)। "Evidence supporting a zoonotic origin of human coronavirus strain NL63"Journal of Virology86 (23): 12816–25। ডিওআই:10.1128/JVI.00906-12পিএমআইডি 22993147পিএমসি 3497669অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  25. Vijaykrishna D, Smith GJ, Zhang JX, Peiris JS, Chen H, Guan Y (এপ্রিল ২০০৭)। "Evolutionary insights into the ecology of coronaviruses"Journal of Virology81 (8): 4012–20। ডিওআই:10.1128/jvi.02605-06পিএমআইডি 17267506পিএমসি 1866124অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  26. Gouilh, Meriadeg Ar; Puechmaille, Sébastien J.; Gonzalez, Jean-Paul; Teeling, Emma; Kittayapong, Pattamaporn; Manuguerra, Jean-Claude (অক্টোবর ২০১১)। "SARS-Coronavirus ancestor's foot-prints in South-East Asian bat colonies and the refuge theory"। Infection, Genetics and Evolution11 (7): 1690–1702। ডিওআই:10.1016/j.meegid.2011.06.021পিএমআইডি 21763784 
  27. Cui J, Han N, Streicker D, Li G, Tang X, Shi Z, ও অন্যান্য (অক্টোবর ২০০৭)। "Evolutionary relationships between bat coronaviruses and their hosts"Emerging Infectious Diseases13 (10): 1526–32। ডিওআই:10.3201/eid1310.070448পিএমআইডি 18258002পিএমসি 2851503অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  28. Crossley BM, Mock RE, Callison SA, Hietala SK (ডিসেম্বর ২০১২)। "Identification and characterization of a novel alpaca respiratory coronavirus most closely related to the human coronavirus 229E"Viruses4 (12): 3689–700। ডিওআই:10.3390/v4123689পিএমআইডি 23235471পিএমসি 3528286অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  29. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; pmid25720466 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  30. Liu P, Shi L, Zhang W, He J, Liu C, Zhao C, ও অন্যান্য (নভেম্বর ২০১৭)। "Prevalence and genetic diversity analysis of human coronaviruses among cross-border children"Virology Journal (ইংরেজি ভাষায়)। 14 (1): 230। ডিওআই:10.1186/s12985-017-0896-0পিএমআইডি 29166910পিএমসি 5700739অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  31. Forgie S, Marrie TJ (ফেব্রুয়ারি ২০০৯)। "Healthcare-associated atypical pneumonia"। Seminars in Respiratory and Critical Care Medicine30 (1): 67–85। ডিওআই:10.1055/s-0028-1119811পিএমআইডি 19199189 
  32. Corman VM, Muth D, Niemeyer D, Drosten C (২০১৮)। "Hosts and Sources of Endemic Human Coronaviruses"। Advances in Virus Research100: 163–88। আইএসবিএন 978-0-12-815201-0ডিওআই:10.1016/bs.aivir.2018.01.001পিএমআইডি 29551135