ভগ্নমনস্কতা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
সম্প্রসারণ
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{refimprove|date=January 2016}}

{{Infobox disease
{{Infobox disease
| Name = স্কিসোফ্রিনিয়া
| Name = স্কিসোফ্রিনিয়া
১৮ নং লাইন: ১৬ নং লাইন:
| MeshNumber = F03.700.750 |}}
| MeshNumber = F03.700.750 |}}


'''স্কিসোফ্রিনিয়া''' ([[ইংরেজি]]: Schizophrenia, উচ্চারণ: {{IPAc-en|icon|ˌ|s|k|ɪ|t|s|ɵ|ˈ|f|r|ɛ|n|i|ə}} বা {{IPAc-en|ˌ|s|k|ɪ|t|s|ɵ|ˈ|f|r|iː|n|i|ə}}) একটি মানসিক ব্যাধি; একে প্রায়শঃ ''সিজোফ্রেনিয়া'' উচ্চরণ করা হয়৷ এ রোগের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এতে চিন্তাধারা এবং অনুভূতির প্রকাশের মধ্যে সঙ্গতি থাকে না ৷<ref>"Schizophrenia" Concise Medical Dictionary. [[Oxford University Press]], 2010. Oxford Reference Online. [http://www.maastrichtuniversity.nl/web/Library/AboutTheLibrary.htm Maastricht University Library]. 29 June 2010 [http://www.oxfordreference.com/views/ENTRY.html?subview=Main&entry=t60.e9060 prepaid subscription only]</ref> এর লক্ষণগুলো হলোঃ ভুলভাল শোনা, উদ্ভট, বিভ্রান্তিকর বা অলীক কিছু দেখা এবং অসঙ্গতিপূর্ণ কথাবার্তা এবং চিন্তা। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি সামাজিক বা কর্মক্ষেত্রে সচারচর অক্ষমতাজনিত অসুবিধার সম্মুখীন হন৷ স্কিটসোফ্রিনিয়ার লক্ষণগুলি সাধারণত বয়ঃপ্রাপ্তির সময় দেখা দেয়৷ সারাবিশ্বের ০.৩–০.৭% মানুষ রোগে আক্রান্ত৷ আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহার পর্যবেক্ষণ অতীত কর্মকান্ড পর্যালোচনার মাধ্যমে এই রোগনির্ণয় করা হয়৷
'''স্কিসোফ্রিনিয়া''' ([[ইংরেজি]]: Schizophrenia, {{IPAc-en|icon|ˌ|s|k|ɪ|t|s|ɵ|ˈ|f|r|ɛ|n|i|ə}} বা {{IPAc-en|ˌ|s|k|ɪ|t|s|ɵ|ˈ|f|r|iː|n|i|ə}}) একটি মানসিক ব্যাধি; একে প্রায়শঃ ''সিজোফ্রেনিয়া'' উচ্চরণ করা হয়৷ এ রোগের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এতে চিন্তাধারা এবং অনুভূতির প্রকাশের মধ্যে সঙ্গতি থাকে না৷<ref name=WHO2015>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Schizophrenia Fact sheet N°397|ইউআরএল=http://www.who.int/mediacentre/factsheets/fs397/en/|কর্ম=WHO|ভাষা=ইংরেজি|সংগ্রহের-তারিখ=২ মে ২০১৮|তারিখ=September 2015|deadurl=no|archiveurl=https://web.archive.org/web/20161018051507/http://www.who.int/mediacentre/factsheets/fs397/en/|archivedate=18 October 2016|df=dmy-all}}</ref> এর লক্ষণগুলো হলো উদ্ভট চিন্তা, বিভ্রান্তিকর বা অলীক কিছু দেখা, অসঙ্গতিপূর্ণ কথাবার্তা এবং অন্যরা যা শোনতে পারে না এমন কিছু শোনা। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি সামাজিক বা কর্মক্ষেত্রে সচারচর অক্ষমতাজনিত অসুবিধার সম্মুখীন হন৷<ref name=WHO2015/><ref name=NIH2016/> স্কিটসোফ্রিনিয়ার লক্ষণগুলি সাধারণত বয়ঃপ্রাপ্তির সময় দেখা দেয় এবং দীর্ঘ দিন স্থায়ী হয়৷<ref name=NIH2016>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Schizophrenia|ইউআরএল=http://www.nimh.nih.gov/health/topics/schizophrenia/index.shtml|কর্ম=National Institute of Mental Health|ভাষা=ইংরেজি|সংগ্রহের-তারিখ=২ মে ২০১৮|তারিখ=January 2016|deadurl=no|archiveurl=https://web.archive.org/web/20161125145206/https://www.nimh.nih.gov/health/topics/schizophrenia/index.shtml|archivedate=25 November 2016|df=dmy-all}}</ref><ref name=DSM5pg101/>

বংশগতি, শৈশবের পরিবেশ, নিউরোবায়োলজি এবং মানসিক ও সামাজিক প্রক্রিয়াসমূহ এ রোগের গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসাবে প্রতিভাত হয়৷<ref name=Lancet2016/> কিছু উত্তেজক মাদক এবং ওষুধ এ রোগের উপসর্গগুলোর আবির্ভাব বা এদের আরও গভীর করে বলে প্রতিয়মান হয়৷ বর্তমানে এ রোগের গবেষণায় নিউরোবায়োলজির ওপর জোর দেয়া হচ্ছে, যদিও এখনো কোন একক জৈব কারণ শনাক্ত করা যায়নি৷ এই রোগের সম্ভাব্য বিভিন্ন ধরণের উপসর্গ সমষ্টি এ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে যে, আদৌ এটি একটি একক ব্যাধি না একাধিক পৃথক উপসর্গের সহাবস্থান৷ স্কিটসোফ্রিনিয়া শব্দটির উৎপত্তি গ্রীক শব্দমূল skhizein (σχίζειν, "to split" বা “দুভাগ করা”) এবং phrēn, phren- (φρήν, φρεν-; "mind" বা “মন”) থেকে৷ এমন নামকরণ সত্ত্বেও স্কিটসোফ্রিনিয়া বলতে আদপে “দ্বিখন্ডিত মন” বুঝায় না; যদিও অনেক সময় সাধারণ মানুষ এটিকে ডিসোসিয়েটিভ আইডেনটিটি ডিজর্ডার (যা মাল্টি পারসনালিটি ডিজর্ডার বা স্প্লিট পারসোনালিটি নামেও পরিচিত) এর সাথে গুলিয়ে ফেলে; প্রকৃতপক্ষে এদুটি ভিন্ন ভিন্ন ব্যাধি৷


সারাবিশ্বের ০.৩–০.৭% মানুষ এ রোগে আক্রান্ত৷<ref name=Lancet09>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি | vauthors = van Os J, Kapur S | title = Schizophrenia | journal = Lancet | volume = 374 | issue = 9690 | pages = 635–45 | date = August 2009 | pmid = 19700006 | doi = 10.1016/S0140-6736(09)60995-8 | url = http://xa.yimg.com/kq/groups/19525360/611943554/name/Schizophrenia+-+The+Lancet.pdf | archiveurl = https://web.archive.org/web/20130623065810/http://xa.yimg.com/kq/groups/19525360/611943554/name/Schizophrenia+-+The+Lancet.pdf | df = dmy-all | deadurl = no | archivedate = 23 June 2013 }}</ref> ২০১৩ সালে আনুমানিক ২৩.৬ মিলিয়ন চিকিৎসাপ্রার্থী ছিল।<ref name=GBD2015>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি | vauthors = | শিরোনাম= Global, regional, and national incidence, prevalence, and years lived with disability for 301 acute and chronic diseases and injuries in 188 countries, 1990-2013: a systematic analysis for the Global Burden of Disease Study 2013 |ভাষা=ইংরেজি | journal = Lancet | volume = 386 | issue = 9995 | pages = 743–800 | date = August 2015 | pmid = 26063472 | pmc = 4561509 | doi = 10.1016/S0140-6736(15)60692-4 | author1 = Global Burden of Disease Study 2013 Collaborators | last2 = Barber | first2 = Ryan M | last3 = Bell | first3 = Brad | last4 = Bertozzi-Villa | first4 = Amelia | last5 = Biryukov | first5 = Stan | last6 = Bolliger | first6 = Ian | last7 = Charlson | first7 = Fiona | last8 = Davis | first8 = Adrian | last9 = Degenhardt | first9 = Louisa | last10 = Dicker | first10 = Daniel | last11 = Duan | first11 = Leilei | last12 = Erskine | first12 = Holly | last13 = Feigin | first13 = Valery L | last14 = Ferrari | first14 = Alize J | last15 = Fitzmaurice | first15 = Christina | last16 = Fleming | first16 = Thomas | last17 = Graetz | first17 = Nicholas | last18 = Guinovart | first18 = Caterina | last19 = Haagsma | first19 = Juanita | last20 = Hansen | first20 = Gillian M | last21 = Hanson | first21 = Sarah Wulf | last22 = Heuton | first22 = Kyle R | last23 = Higashi | first23 = Hideki | last24 = Kassebaum | first24 = Nicholas | last25 = Kyu | first25 = Hmwe | last26 = Laurie | first26 = Evan | last27 = Liang | first27 = Xiofeng | last28 = Lofgren | first28 = Katherine | last29 = Lozano | first29 = Rafael | last30 = MacIntyre | first30 = Michael F | display-authors = 29 }}</ref> আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহার পর্যবেক্ষণ ও অতীত কর্মকান্ড পর্যালোচনার মাধ্যমে এই রোগ নির্ণয় করা হয়৷ এক্ষেত্রে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা, যেমন - দীর্ঘ সময় ধরে বেকারত্ব, দারিদ্র, আবাসনহীনতাকে প্রধান কারণ বলে গণ্য করা হয়।<ref name=DSM5pg101/><ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি | vauthors = Foster A, Gable J, Buckley J |শিরোনাম= Homelessness in schizophrenia |ভাষা=ইংরেজি | journal = The Psychiatric Clinics of North America | volume = 35 | issue = 3 | pages = 717–34 | date = September 2012 | pmid = 22929875 | doi = 10.1016/j.psc.2012.06.010 }}</ref>
বংশগতি, শৈশবের পরিবেশ, নিউরোবায়োলজি এবং মানসিক ও সামাজিক প্রক্রিয়াসমূহ এ রোগের গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসাবে প্রতিভাত হয়৷ কিছুকিছু উত্তেজক মাদক এবং ওষুধ এরোগের উপসর্গগুলোর আবির্ভাব বা এদের আরও গভীর করে বলে প্রতিয়মান হয়৷ বর্তমানে এ রোগের গবেষণায় নিউরোবায়োলজির ওপর জোর দেয়া হচ্ছে, যদিও এখনো কোন একক জৈব কারণ শনাক্ত করা যায়নি৷ এই রোগের সম্ভাব্য বিভিন্ন ধরণের উপসর্গ সমষ্টি এ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে যে, আদৌ এটি একটি একক ব্যাধি না একাধিক পৃথক উপসর্গের সহাবস্থান৷ স্কিটসোফ্রিনিয়া শব্দটির উৎপত্তি গ্রীক শব্দমূল skhizein (σχίζειν, "to split" বা “দুভাগ করা”) এবং phrēn, phren- (φρήν, φρεν-; "mind" বা “মন”) থেকে৷ এমন নামকরণ সত্ত্বেও স্কিটসোফ্রিনিয়া বলতে আদপে “দ্বিখন্ডিত মন” বুঝায় না; যদিও অনেক সময় সাধারণ মানুষ এটিকে ডিসোসিয়েটিভ আইডেনটিটি ডিজর্ডার (যা মাল্টি পারসনালিটি ডিজর্ডার বা স্প্লিট পারসোনালিটি নামেও পরিচিত) এর সাথে গুলিয়ে ফেলে; প্রকৃতপক্ষে এদুটি ভিন্ন ভিন্ন ব্যাধি৷


==লক্ষণ==
==লক্ষণ==
৩৬ নং লাইন: ৩৬ নং লাইন:
৪. অডিটরি হ্যালুসিনেশন দেখা।
৪. অডিটরি হ্যালুসিনেশন দেখা।


==ধরণ ==
==ধরণ ==
আমেরিকান সাইকিয়াটিক এসোসিয়েশন(APA)সিজোফ্রেনিয়াকে নয়টি ভাগে বিভক্ত করেছে।এগুলো হলোঃ-
আমেরিকান সাইকিয়াটিক এসোসিয়েশন (এপিএ) সিজোফ্রেনিয়াকে নয়টি ভাগে বিভক্ত করেছে।এগুলো হলোঃ-
১. সরল টাইপ
১. সরল টাইপ
২. হেবিফ্রেনিক টাইপ
২. হেবিফ্রেনিক টাইপ
৫৪ নং লাইন: ৫৪ নং লাইন:


== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা}}
{{সূত্র তালিকা|২}}


== বহিঃসংযোগ ==
== বহিঃসংযোগ ==

১৩:২৪, ২ মে ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ভগ্নমনস্কতা
বিশেষত্বমনোরোগ বিজ্ঞান, চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

স্কিসোফ্রিনিয়া (ইংরেজি: Schizophrenia, /[অসমর্থিত ইনপুট: 'icon']ˌskɪts[অসমর্থিত ইনপুট: 'ɵ']ˈfrɛniə/ বা /ˌskɪts[অসমর্থিত ইনপুট: 'ɵ']ˈfrniə/) একটি মানসিক ব্যাধি; একে প্রায়শঃ সিজোফ্রেনিয়া উচ্চরণ করা হয়৷ এ রোগের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এতে চিন্তাধারা এবং অনুভূতির প্রকাশের মধ্যে সঙ্গতি থাকে না৷[১] এর লক্ষণগুলো হলো উদ্ভট চিন্তা, বিভ্রান্তিকর বা অলীক কিছু দেখা, অসঙ্গতিপূর্ণ কথাবার্তা এবং অন্যরা যা শোনতে পারে না এমন কিছু শোনা। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি সামাজিক বা কর্মক্ষেত্রে সচারচর অক্ষমতাজনিত অসুবিধার সম্মুখীন হন৷[১][২] স্কিটসোফ্রিনিয়ার লক্ষণগুলি সাধারণত বয়ঃপ্রাপ্তির সময় দেখা দেয় এবং দীর্ঘ দিন স্থায়ী হয়৷[২][৩]

বংশগতি, শৈশবের পরিবেশ, নিউরোবায়োলজি এবং মানসিক ও সামাজিক প্রক্রিয়াসমূহ এ রোগের গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসাবে প্রতিভাত হয়৷[৪] কিছু উত্তেজক মাদক এবং ওষুধ এ রোগের উপসর্গগুলোর আবির্ভাব বা এদের আরও গভীর করে বলে প্রতিয়মান হয়৷ বর্তমানে এ রোগের গবেষণায় নিউরোবায়োলজির ওপর জোর দেয়া হচ্ছে, যদিও এখনো কোন একক জৈব কারণ শনাক্ত করা যায়নি৷ এই রোগের সম্ভাব্য বিভিন্ন ধরণের উপসর্গ সমষ্টি এ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে যে, আদৌ এটি একটি একক ব্যাধি না একাধিক পৃথক উপসর্গের সহাবস্থান৷ স্কিটসোফ্রিনিয়া শব্দটির উৎপত্তি গ্রীক শব্দমূল skhizein (σχίζειν, "to split" বা “দুভাগ করা”) এবং phrēn, phren- (φρήν, φρεν-; "mind" বা “মন”) থেকে৷ এমন নামকরণ সত্ত্বেও স্কিটসোফ্রিনিয়া বলতে আদপে “দ্বিখন্ডিত মন” বুঝায় না; যদিও অনেক সময় সাধারণ মানুষ এটিকে ডিসোসিয়েটিভ আইডেনটিটি ডিজর্ডার (যা মাল্টি পারসনালিটি ডিজর্ডার বা স্প্লিট পারসোনালিটি নামেও পরিচিত) এর সাথে গুলিয়ে ফেলে; প্রকৃতপক্ষে এদুটি ভিন্ন ভিন্ন ব্যাধি৷

সারাবিশ্বের ০.৩–০.৭% মানুষ এ রোগে আক্রান্ত৷[৫] ২০১৩ সালে আনুমানিক ২৩.৬ মিলিয়ন চিকিৎসাপ্রার্থী ছিল।[৬] আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহার পর্যবেক্ষণ ও অতীত কর্মকান্ড পর্যালোচনার মাধ্যমে এই রোগ নির্ণয় করা হয়৷ এক্ষেত্রে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা, যেমন - দীর্ঘ সময় ধরে বেকারত্ব, দারিদ্র, আবাসনহীনতাকে প্রধান কারণ বলে গণ্য করা হয়।[৩][৭]

লক্ষণ

বহু আলোচিত এবং বিতর্কমূলক স্কিজোফ্রেনিয়া (schizopherenia) রোগের প্যাথোফিজিওলজি নিয়ে আলোচনায় আসছি। পাঠ্যপুস্তকে স্কিজোফ্রেনিয়া রোগের মধ্যে অনেক ধরনের রোগীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং তাদের বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়েছে; যথা প্যারানয়েড স্কিজোফ্রেনিয়া, ক্যাটাটনিক স্কিজোফ্রেনিয়া, সিম্পল স্কিজোফ্রেনিয়া ইত্যাদি। এই রোগীরা সকলেই প্রায় বাস্তববিমুখ অথবা বাস্তবজগত থেকে বিচ্ছিন্ন। কারও কারও কথাবার্তায় প্রথম থেকেই স্বাভাবিকতা ও বাস্তববিমুখীনতার পরিচয় পাওয়া যায়। হ্যালুসিনেশন এবং ডিলিউশান যাদের থাকে তাদের সাধারণ মানুষই অস্বাভাবিক এবং কোনও কোনও ক্ষেত্রে উন্মাদ বলে বুঝতে পারে। আবার এখানে নিজ নিজ বুদ্ধি, বিশ্বাস এবং সংস্কৃতি অনুযায়ী তাঁরা বিশেষ করে বাড়ির লোকেরা, এই অস্বাভাবিকতাকে এক ধরনের বৈশিষ্ট্য বলে ভাবতে পারেন। আমাকে রোগী যদি বলে ‘আমাকে আমার বন্ধু, এক গুনিনের কাছে নিয়ে গিয়েছিল। সেই গুনিন আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বিড় বিড় করে কী যেন বলল! তার পর থেকে তার কণ্ঠস্বর আমি সব সময় শুনতে পাচ্ছি’, এই রকম অস্বাভাবিক কথাবার্তাও রোগীর আত্মীয়-স্বজন কোনও কোনও সময় স্বাভাবিক বলে মনে করেন। কারণ তাঁরা তুকতাক, মারণ উচাটন বশীকরণ ইত্যাদির ক্রিয়াকলাপে বিশ্বাসী। আবার দু-এক ক্ষেত্রে দেখা যায়, কোনও এক দিকে রোগীর অসাধারণ ব্যুৎপত্তি অথবা জ্ঞান বাড়ির লোকেদের বিস্মিত করে; তাঁরা রোগীকে জিনিয়াস মনে করে গর্বিত রোধ করেন। খুব অপ্রাসঙ্গিক হবে না যদি এখানে বলি যে বেশ কিছু পণ্ডিতের ধারণা যে জিনিয়াস (genius) এবং উন্মত্ততার মধ্যে বিশেষ সম্পর্ক আছে। এ আলোচনার মধ্যে আমরা বর্তমানে যাচ্ছি না। তবে স্কিজোফ্রেনিক রোগীদের মধ্যে বুদ্ধিমান এবং অতি সংবেদনশীলদের সংখ্যা বেশি — এ কথা বললে বোধহয় খুব ভুল বলা হবে না।

আলামত

আলামত সমূহ এপিসোডিক বা হঠাৎ ঘটে থাকতে পারে।

১. অসংলগ্ন আচরণ।

২. এলোমেলো এবং সংযোগবিহীন চিন্তা ও তার বহিঃপ্রকাশ।

৩. জীবন এবং তার সংশ্লিষ্ট কাজের প্রতি উৎসাহ হারিয়ে ফেলা।

৪. অডিটরি হ্যালুসিনেশন দেখা।

ধরণ

আমেরিকান সাইকিয়াটিক এসোসিয়েশন (এপিএ) সিজোফ্রেনিয়াকে নয়টি ভাগে বিভক্ত করেছে।এগুলো হলোঃ- ১. সরল টাইপ ২. হেবিফ্রেনিক টাইপ ৩. ক্যাটাটনিক টাইপ ৪. প্যারানয়েড টাইপ ৫. আনডিফারেনসিয়েটেড টাইপ ৬. শৈশব টাইপ ৭.সিজো-অ্যাফেকটিভ টাইপ ৮.তীব্র-মিশ্র টাইপ ৯.দীর্ঘস্থায়ী মিশ্র টাইপ

নিরাময়

চিকিৎসার প্রধান মাধ্যম হল এন্টিসাইকোটিক ওষুধ, যা মূলত ডোপামিন (এবং কখনও কখনও স্টেরোটোনিন) গ্রহণ কার্যক্রমকে অবদমিত করে। সেই সাথে মনোচিকিৎসা এবং বৃত্তিমূলক ও সামাজিক পুনর্বাসনও চিকিৎসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বেশি গুরুতর ক্ষেত্রে, যেখানে নিজের এবং অন্যদের প্রতি ক্ষতির ঝুঁকি থাকে - সেখানে রোগীর অনিচ্ছা থাকলেও হাসপাতালে ভর্তি করা প্রয়োজন হতে পারে, যদিও হাসপাতালে থাকার মেয়াদ এখন আগের থেকে কম হয় এবং হাসপাতালে যেতেও হয় আগের থেকে অনেক কম।

এই ব্যাধি মূলত চেতনাকে আক্রান্ত করে বলে ধারণা করা হয়, কিন্তু এটা একই সাথে প্রায়শই আচরণ এবং আবেগ গত দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা বৃদ্ধি করে।

তথ্যসূত্র

  1. "Schizophrenia Fact sheet N°397"WHO (ইংরেজি ভাষায়)। সেপ্টেম্বর ২০১৫। ১৮ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১৮ 
  2. "Schizophrenia"National Institute of Mental Health (ইংরেজি ভাষায়)। জানুয়ারি ২০১৬। ২৫ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১৮ 
  3. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; DSM5pg101 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  4. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Lancet2016 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  5. van Os J, Kapur S (আগস্ট ২০০৯)। "Schizophrenia" (পিডিএফ)Lancet374 (9690): 635–45। ডিওআই:10.1016/S0140-6736(09)60995-8পিএমআইডি 19700006। ২৩ জুন ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  6. Global Burden of Disease Study 2013 Collaborators; Barber, Ryan M; Bell, Brad; Bertozzi-Villa, Amelia; Biryukov, Stan; Bolliger, Ian; Charlson, Fiona; Davis, Adrian; Degenhardt, Louisa; Dicker, Daniel; Duan, Leilei; Erskine, Holly; Feigin, Valery L; Ferrari, Alize J; Fitzmaurice, Christina; Fleming, Thomas; Graetz, Nicholas; Guinovart, Caterina; Haagsma, Juanita; Hansen, Gillian M; Hanson, Sarah Wulf; Heuton, Kyle R; Higashi, Hideki; Kassebaum, Nicholas; Kyu, Hmwe; Laurie, Evan; Liang, Xiofeng; Lofgren, Katherine; Lozano, Rafael; ও অন্যান্য (আগস্ট ২০১৫)। "Global, regional, and national incidence, prevalence, and years lived with disability for 301 acute and chronic diseases and injuries in 188 countries, 1990-2013: a systematic analysis for the Global Burden of Disease Study 2013"Lancet (ইংরেজি ভাষায়)। 386 (9995): 743–800। ডিওআই:10.1016/S0140-6736(15)60692-4পিএমআইডি 26063472পিএমসি 4561509অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  7. Foster A, Gable J, Buckley J (সেপ্টেম্বর ২০১২)। "Homelessness in schizophrenia"। The Psychiatric Clinics of North America (ইংরেজি ভাষায়)। 35 (3): 717–34। ডিওআই:10.1016/j.psc.2012.06.010পিএমআইডি 22929875 

বহিঃসংযোগ