পিঁপড়া: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১০০ নং লাইন: | ১০০ নং লাইন: | ||
পিপীলিকা সমাজে শ্রমবিভাগ, ব্যক্তিগত পর্যায়ে যোগাযোগ এবং জটিল সমস্যা সমাধানের দক্ষতা রয়েছে। মানুষের সাথে এই সাযুজ্যগুলো তাদেরকে গবেষণার জন্য খুব আকর্ষণীয় প্রাণী করে তুলেছে। অনেক মানব সমাজে আবার পিঁপড়াকে খাদ্য, ঔষধ এবং ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা হয়। পিঁপড়ার কিছু প্রজাতি জৈব কীটনাশক হিসেবেও গুরত্বপূর্ণ। তবে পিঁপড়া মানুষের জন্যে মাঝে মাঝে ক্ষতিরও কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। পিঁপড়া ফসলের ক্ষতি করে এবং দালান-কোঠার ধ্বংস সাধন করে। এর কিছু প্রজাতি যেমন ''Red imported fire ant'' কে কোথাও কোথাও আগ্রাসী প্রজাতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ এরা ঘটনাচক্রে নতুন কোন পরিবেশে গিয়ে পড়লেও খুব সহজে সেখানে নিজেদের সুপ্রতিষ্ঠিত করে নিতে পারে। |
পিপীলিকা সমাজে শ্রমবিভাগ, ব্যক্তিগত পর্যায়ে যোগাযোগ এবং জটিল সমস্যা সমাধানের দক্ষতা রয়েছে। মানুষের সাথে এই সাযুজ্যগুলো তাদেরকে গবেষণার জন্য খুব আকর্ষণীয় প্রাণী করে তুলেছে। অনেক মানব সমাজে আবার পিঁপড়াকে খাদ্য, ঔষধ এবং ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা হয়। পিঁপড়ার কিছু প্রজাতি জৈব কীটনাশক হিসেবেও গুরত্বপূর্ণ। তবে পিঁপড়া মানুষের জন্যে মাঝে মাঝে ক্ষতিরও কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। পিঁপড়া ফসলের ক্ষতি করে এবং দালান-কোঠার ধ্বংস সাধন করে। এর কিছু প্রজাতি যেমন ''Red imported fire ant'' কে কোথাও কোথাও আগ্রাসী প্রজাতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ এরা ঘটনাচক্রে নতুন কোন পরিবেশে গিয়ে পড়লেও খুব সহজে সেখানে নিজেদের সুপ্রতিষ্ঠিত করে নিতে পারে। |
||
==শ্রেণিবিন্যাস ও বিবর্তন== |
|||
ফর্মিসিডি পরিবারটি হাইমেনপ্টেরা বর্গের অন্তর্ভুক্ত যে বর্গের মধ্যে পিঁপড়া ছাড়াও রয়েছে মৌমাছি, বোলতা এবং সফ্লাই। ভেসপয়েড বোলতাদের একটি বংশধারা থেকে পিঁপড়াদের বিবর্তন ঘটেছে। জীবাশ্মের রেকর্ড থেকে জানা গেছে ১৫ কোটি বছর পূর্বে অর্থাৎ জুরাসিক যুগের শেষদিকেও তাদের পিঁপড়ার অস্তিত্ব ছিল। ১০ কোটি বছর পূর্বে সপুষ্পক উদ্ভিদের বিকাশের পর তারা আরও বৈচিত্র্যময় হয়ে ওঠে এবং আনুমানিক ৬ কোটি বছর পূর্বে বাস্তুতান্ত্রিক প্রতিপত্তি অর্জন করে।<ref name="grimaldi2001">{{cite journal |
|||
|author=Grimaldi D, Agosti D |
|||
|year=2001 |
|||
|title=A formicine in New Jersey Cretaceous amber (Hymenoptera: Formicidae) and early evolution of the ants |
|||
|journal=[[Proceedings of the National Academy of Sciences]] |
|||
|volume=97 |
|||
|pages=13678–13683 |
|||
|url=http://www.pnas.org/cgi/ijlink?linkType=ABST&journalCode=pnas&resid=97/25/13678 |
|||
| doi = 10.1073/pnas.240452097 |
|||
|pmid=11078527 |
|||
|issue=25 |
|||
|pmc=17635|bibcode = 2000PNAS...9713678G }}</ref> ১৯৬৬ সালে ই ও উইলসন ও তার সহকর্মীরা অ্যাম্বারে ফাঁদে আটকে পড়া ক্রিটেশাস যুগের একটি পিঁপড়ার জীবাশ্ম আবিষ্কার করেন যার প্রজাতির নাম Sphecomyrma freyi. ৮ কোটি বছরের পুরনো এই জীবাশ্মটিতে পিঁপড়া ও বোলতা উভয়ের বৈশিষ্ট্যই পাওয়া যায়।<ref>{{cite journal |
|||
|author=[[E. O. Wilson|Wilson E O]], Carpenter FM, Brown WL |
|||
|title=The first Mesozoic ants |
|||
|journal=[[Science (journal)|Science]] |
|||
|year=1967 |
|||
|volume=157 |
|||
|pages=1038–1040 |
|||
| doi = 10.1126/science.157.3792.1038 |
|||
|pmid=17770424 |
|||
|issue=3792|bibcode = 1967Sci...157.1038W }}</ref> স্ফেকোমারমা সম্ভবত ভূপৃষ্ঠে বসবাসকারী সংগ্রাহক ছিল, অনেকে অবশ্য মনে করেন Leptanillinae এবং Martialinae শ্রেণীর প্রাণীদের মত প্রাচীন পিঁপড়ারা মাটির নিচে শিকার করে খেতো। |
|||
== তথ্যসূত্র == |
== তথ্যসূত্র == |
২৩:০৫, ৬ মার্চ ২০১৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
পিঁপড়া সময়গত পরিসীমা: ১৫০–০কোটি জুরাসিক – বর্তমান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
সেনা পিঁপড়াদের সেতু নির্মাণ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জগৎ: | Animalia | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পর্ব: | Arthropoda | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শ্রেণী: | Insecta | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বর্গ: | Hymenoptera | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উপবর্গ: | Apocrita | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মহাপরিবার: | Vespoidea | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পরিবার: | ফর্মিসিডি Latreille, ১৮০৯ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
Subfamilies | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ক্ল্যাডোগ্রাম
A phylogeny of the extant ant subfamilies.[১] |
পিঁপড়া/পিপীলিকা ফর্মিসিডি (Formicidae) গোত্রের অন্তর্গত সামাজিক কীট বা পোকা। পিঁপড়া এদের ঘনিষ্ঠ প্রজাতি বোলতা ও মৌমাছির মত একই বর্গ হাইমেনপ্টেরার (Hymenoptera) অন্তর্গত। এরা মধ্য-ক্রেটাশাস পর্যায়ে ১১ থেকে ১৩ কোটি বছর পূর্বে বোলতা জাতীয় প্রাণী হতে বিবর্তিত হয় এবং সপুষ্পক উদ্ভিদের উদ্ভবের পর বহুমুখী বিকাশ লাভ করে। এখন পর্যন্ত জানা প্রায় ২২,০০০ পিঁপড়া প্রজাতির মধ্যে ১২,৫০০ টির শ্রেণিবিন্যাস করা হয়েছে।[২][৩] কনুই-সদৃশ শুঙ্গ এবং গ্রন্থির মত যে কাঠামো দিয়ে তার সরু কোমড় গঠিত হয় তার মাধ্যমে পিঁপড়াকে সহজেই সনাক্ত করা যায়।
পিঁপড়া উপনিবেশ তৈরি করে বাস করে যা প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্টি হওয়া কয়েক ডজন শিকারী পিঁপড়া থেকে শুরু করে বিশাল এলাকাজুড়ে বাস করা লক্ষ লক্ষ পিঁপড়ার সমন্বয়ে গঠিত হতে পারে। বড় দলগুলি প্রধানত অনুর্বর নারী পিঁপড়াদের সমন্বয়ে তৈরি হয় যারা কর্মী, সৈন্য এবং অন্যান্য বিশেষায়িত বাহিনীতে বিভক্ত থাকে। প্রায় সব পিঁপড়ার উপনিবেশেই কিছু প্রজননক্ষম পুরুষ পিঁপড়া (ড্রোন) এবং এক বা একাধিক উর্বর নারী পিঁপড়া থাকে, যাদের রাণী পিঁপড়া বলা হয়। পিঁপড়াদের এই উপনিবেশকে কখনো কখনো সুপার-অর্গানিজম বা দলগতস্বত্তাও বলা হয়, কারণ এরা সবাই মিলে কেবল একটি প্রাণীর মত আচরণ করে এবং অস্তিত্ব রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ ভাবে সংগ্রাম করে।[৪]
পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র পিঁপড়ার দেখা মেলে, একমাত্র এন্টার্কটিকা ও এ ধরণের কিছু এলাকা ছাড়া। পিঁপড়া প্রায় যেকোনো বাস্তুসংস্থানে বিকাশ লাভ করতে পারে এবং এরা ভূমিগত বায়োমাসের প্রায় ১৫-২৫% গঠন করে। তাদের এই সাফল্যের কারণ হল তাদের সামাজিক সংগঠন, দ্রুত বাসস্থান পরিবর্তনের ক্ষমতা, রসদ জোগাড় করার দক্ষতা এবং নিজেদের রক্ষা করার পারদর্শিতা। অন্য প্রাণীদের সাথে তাদের দীর্ঘ দিনের সহবিবর্তন mimetic, পরাশ্রয়ী, পরজীবী এবং মিথোজোবী সম্পর্কের পত্তন ঘটিয়েছে।[৫]
পিপীলিকা সমাজে শ্রমবিভাগ, ব্যক্তিগত পর্যায়ে যোগাযোগ এবং জটিল সমস্যা সমাধানের দক্ষতা রয়েছে। মানুষের সাথে এই সাযুজ্যগুলো তাদেরকে গবেষণার জন্য খুব আকর্ষণীয় প্রাণী করে তুলেছে। অনেক মানব সমাজে আবার পিঁপড়াকে খাদ্য, ঔষধ এবং ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা হয়। পিঁপড়ার কিছু প্রজাতি জৈব কীটনাশক হিসেবেও গুরত্বপূর্ণ। তবে পিঁপড়া মানুষের জন্যে মাঝে মাঝে ক্ষতিরও কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। পিঁপড়া ফসলের ক্ষতি করে এবং দালান-কোঠার ধ্বংস সাধন করে। এর কিছু প্রজাতি যেমন Red imported fire ant কে কোথাও কোথাও আগ্রাসী প্রজাতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ এরা ঘটনাচক্রে নতুন কোন পরিবেশে গিয়ে পড়লেও খুব সহজে সেখানে নিজেদের সুপ্রতিষ্ঠিত করে নিতে পারে।
শ্রেণিবিন্যাস ও বিবর্তন
ফর্মিসিডি পরিবারটি হাইমেনপ্টেরা বর্গের অন্তর্ভুক্ত যে বর্গের মধ্যে পিঁপড়া ছাড়াও রয়েছে মৌমাছি, বোলতা এবং সফ্লাই। ভেসপয়েড বোলতাদের একটি বংশধারা থেকে পিঁপড়াদের বিবর্তন ঘটেছে। জীবাশ্মের রেকর্ড থেকে জানা গেছে ১৫ কোটি বছর পূর্বে অর্থাৎ জুরাসিক যুগের শেষদিকেও তাদের পিঁপড়ার অস্তিত্ব ছিল। ১০ কোটি বছর পূর্বে সপুষ্পক উদ্ভিদের বিকাশের পর তারা আরও বৈচিত্র্যময় হয়ে ওঠে এবং আনুমানিক ৬ কোটি বছর পূর্বে বাস্তুতান্ত্রিক প্রতিপত্তি অর্জন করে।[৬] ১৯৬৬ সালে ই ও উইলসন ও তার সহকর্মীরা অ্যাম্বারে ফাঁদে আটকে পড়া ক্রিটেশাস যুগের একটি পিঁপড়ার জীবাশ্ম আবিষ্কার করেন যার প্রজাতির নাম Sphecomyrma freyi. ৮ কোটি বছরের পুরনো এই জীবাশ্মটিতে পিঁপড়া ও বোলতা উভয়ের বৈশিষ্ট্যই পাওয়া যায়।[৭] স্ফেকোমারমা সম্ভবত ভূপৃষ্ঠে বসবাসকারী সংগ্রাহক ছিল, অনেকে অবশ্য মনে করেন Leptanillinae এবং Martialinae শ্রেণীর প্রাণীদের মত প্রাচীন পিঁপড়ারা মাটির নিচে শিকার করে খেতো।
তথ্যসূত্র
- ↑ Ward, Philip S (২০০৭)। "Phylogeny, classification, and species-level taxonomy of ants (Hymenoptera: Formicidae)" (PDF)। Zootaxa। 1668: 549–563।
- ↑ "Hymenoptera name server. Formicidae species count."। Ohio State University।
- ↑ La nueva taxonomía de hormigas. Pages 45–48 in Fernández, F. Introducción a las hormigas de la región neotropical. (পিডিএফ)। Instituto Humboldt, Bogotá। ২০০৩। অজানা প্যারামিটার
|coauthors=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য) - ↑ Oster GF, Wilson EO (১৯৭৮)। Caste and ecology in the social insects। Princeton University Press, Princeton। পৃষ্ঠা 21–22। আইএসবিএন 0-691-02361-1।
- ↑ Hölldobler & Wilson (1990), p. 471
- ↑ Grimaldi D, Agosti D (২০০১)। "A formicine in New Jersey Cretaceous amber (Hymenoptera: Formicidae) and early evolution of the ants"। Proceedings of the National Academy of Sciences। 97 (25): 13678–13683। ডিওআই:10.1073/pnas.240452097। পিএমআইডি 11078527। পিএমসি 17635 । বিবকোড:2000PNAS...9713678G।
- ↑ Wilson E O, Carpenter FM, Brown WL (১৯৬৭)। "The first Mesozoic ants"। Science। 157 (3792): 1038–1040। ডিওআই:10.1126/science.157.3792.1038। পিএমআইডি 17770424। বিবকোড:1967Sci...157.1038W।
বহিঃসংযোগ
- Antweb from The California Academy of Sciences
- AntBlog a website dedicated to the study of ant colonies
- AntBase - a taxonomic database with literature sources
- Discover Life—images, information and links
- BugGuide
- Global Ant Project
- Navajo Ant Project
- Article on ants
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |